প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১ মে ২০২০, শুক্রবার
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকায় প্রথম ধাপের চিকিৎসাসেবা ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই দিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে মানসম্মত নিরাপত্তা সরঞ্জাম এর অভাবে আতঙ্কের মধ্যে আছেন তারা। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া সরকারি চিকিৎসকদের জন্য প্রণোদনার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য তার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয় নি।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জানিয়েছে, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত কর্মচারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই আদেশে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসক যারা করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ ব্যাপারে নির্দেশনার জন্য সচিবের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিএমএ।
রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৫৩ জন। বাবুগঞ্জ থেকে আসা এক রোগী তার তথ্য গোপন করায় এবং পরে ওই রোগীর করোনা পজিটিভ আসার পর হাসপাতালের মেডিসিন ৩ ইউনিটের তিনজনসহ মোট চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। লকডাউন করা হয় ওই ইউনিটটি। এরপর তাৎক্ষণিক ২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ পরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের তিনটি হোস্টেল লকডাউন করে ১৫৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনার বাইরে আমরা কিছু করতে পারব না। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
উক্ত মেডিকেলের করোনায় প্রথম আক্রান্ত হওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘণ্টা আমরা ইন্টার্নরা ডিউটি করে থাকি। আমাদের এসব পরিস্থিতির তেমন কোনো অভিজ্ঞতাও নেই। তারপরও আমরাই রোগীদের সেবা দিতে এগিয়ে আসছি। আমরা পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যাচ্ছি। আর এই অভিনয় কতদিন করা সম্ভব তা আল্লাহ জানেন। রোগীরা যদি হিস্ট্রি গোপন করে আর আমাদের দেয়া ইকুইপমেন্ট মানসম্মত না হলে সমস্যা জটিল হবে।
কৃতজ্ঞতা: hellobarishal
রাফায়েত হোসেন সৌরভ/নিজস্ব প্রতিবেদক