গত ১৬ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বৈরাগ এলাকা থেকে হাফেজ তৈয়ব নামের এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। কিন্তু রোগীটি হাসপাতালে আসার পূর্বেই মারা যান। এই সময় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন দুই জন মহিলা চিকিতসক। চিকিৎসকেরা রোগীটিকে পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারেন এটি Brought dead case. তবুও নিশ্চিত করার জন্য তারা একটি ইসিজি করান এবং তাতে flat wave পান। এরপর রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর শুনে স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা হাসপাতালে হইচই শুরু করেন এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল করে কিছু লোক জরুরি বিভাগে এসে হাজির হন ও ভাংচুর চালান। ঘটনার আকস্মিকতায় চিকিৎসকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ও হাসপাতালের দুই তলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। এ সময় জরুরি বিভাগের একজন কর্মচারীকে (এম.এল.এস.এস) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন ঔষধের দোকান মালিকরা হাসপাতালে এসে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। ঘটনার পরদিন থেকেই সাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের দরজায় কর্মবিরতির নোটিশ টাঙানো হয় ও বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা হয়। তবে জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকেরা কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।।
লেখাটি পাঠিয়েছেন ঃ মুহাম্মাদ সালাহউদ্দিন