প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৪ জুন ২০২০, রবিবার
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আউটডোর। ব্রেক পিরিয়ডে পেশেন্ট নিয়ে আসছি। পেশেন্টকে চেম্বারে দিয়ে দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছি।
মধ্যবয়সী এক মহিলা ছুটে এলেন আমার কাছে। এসেই হাসিমুখে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। এমনভাবে কথা বললেন যেন আমি উনার শত বছরের পরিচিত। মহিলার চোখেমুখে প্রশান্তির ছোঁয়া। আমি অবশ্য কিছুটা বিব্রত। হতভম্বও বলা চলে। অপরিচিত মহিলা বলেই বৈকি।
সারাদিন ব্যস্ততার পর সন্ধ্যায় হঠাৎ মনে হলো মহিলাটি পরিচিত। ঠিক একবছর আগে উনি মুমূর্ষু অবস্থায় আমাদেরই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ও’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। মহিলাটির ছেলে হন্তদন্ত হয়ে রক্তের জন্য ছোটাছুটি করছিল। কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই দিয়েছিলাম রক্ত।
একবছরে আমি ভুলে গেলেও আমার রক্ত ঠিকই চিনে নিয়েছে আমায়।
আলহামদুলিল্লাহ ‘মেডিসিন ক্লাবের’ সৌজন্যে মেডিকেলে দুইবছরে চারবার রক্তদান করি। কোন প্রতিদান নয়, পেশেন্টের হাসিমাখা মুখটাই বড্ড প্রশান্তি দেয়।
হাসপাতালের করিডোর দিয়ে যেতে যেতে প্রতিনিয়ত কতশত হাহাকার যে শুনি রক্তের জন্য। তখন মনে হতে থাকে ৪৫০ এমএল রক্তের মূল্য অমূল্য।
“মানবতার টানে – ভয় নেই রক্তদানে”
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে শুভেচ্ছা সকল রক্তদাতাকে।
আবিদ মাহমুদ সিজান
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর
সেশনঃ ২০১৭-১৮