রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খাৎনার জন্য অ্যানেসথেসিয়া দেয়ার পর শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের দায় খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এজন্য দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আয়ানের মা-বাবাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অনুমোদনহীন সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। হাইকোর্টে দাখিল করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খাৎনার জন্য রাজধানীর বাড্ডার মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নার্সারি পড়ুয়া শিশু আয়ানকে। খাৎনা করাতে সাধারণত লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ ছিল, তাকে পুরো শরীর অ্যানেসথেসিয়া দেন চিকিৎসকরা। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি আয়ানের। এরপর তড়িঘরি তার পরিবারকে অন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা বলা হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আয়ান।
বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়। এরপর হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। তদন্ত কমিটি গঠনও করা হয়। যেটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে গেলে উচ্চ আদালত উষ্মা প্রকাশ করে পুণঃতদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির রিপোর্ট আমাদের মনঃপূত হয়নি। আমরা পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি করে দিচ্ছি। কমিটিতে তিনজন চিকিৎসক, দুইজন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়।
প্ল্যাটফর্ম/