প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গত ১৩ জুলাই (সোমবার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ কোরবানিকালীন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
কোরবানির পশু হাট কমিটির জন্য উল্লেখযোগ্য নির্দেশনাসমূহ হলো-
১. খোলা জায়গায় হাট বসাতে হবে। কোনোভাবেই বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবে না।
২. পশুর হাটে অবশ্যই মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন- মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পরিষ্কার পানি ও সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. প্রতিটি হাটেই স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। প্রয়োজনে আইসোলেশন কক্ষ স্থাপনের জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৪. পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব ( কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব) মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও ইজারা প্রদানের জন্য অতিরিক্ত কাউন্টার, হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য উল্লেখযোগ্য নির্দেশনাসমূহ হলো-
১. ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকেই মাস্ক পরিধান করে হাটে আসতে হবে।
২. করোনা উপসর্গ যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করবে না।
৩. শিশু, বৃদ্ধ বা অসুস্থ কেউ হাটে আসবে না।
এছাড়াও পশু ক্রয়- বিক্রয়ের সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সাবাম দিয়ে হাত ধুয়া সহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
পশু কোরবানিকালীন নির্দেশনাসমূহ হলো-
১. পশু কোরবানির সময় প্রয়োজনের অধিক লোক একত্রিত হবে না ও মাংস সংগ্রহের সময় অধিক লোক চলাফেরা করবে না।
২. পশুর চামড়া দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানটি ব্লিচিং পাওডার দিয়ে দ্রুত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।