ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুগান্তরের প্রকাশককে চিকিৎসকদের ব্যবহৃত চেয়ার থেকে উঠে যেতে বলায় প্রথম পৃষ্ঠায় সেই চিকিৎসকের নামে ভাড়াটে সাংবাদিক দিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেই খবরের বেশির ভাগই কনট্রাডিকটরি।
যেমন “হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্টাফ জানান, জরুরি বিভাগ হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এ বিভাগের চিকিৎসকরা প্রায়ই ডিউটিতে থাকেন না। মুমূর্ষু রোগী এলেও তারা অধিকাংশ সময় মোবাইলে কথা বলা বা ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অসহায় রোগী বা তাদের স্বজনরা প্রতিবাদ করলেও কোনো ফল পাওয়া যায় না।”
চরমতম মিথ্যাচার এটি। জরুরী বিভাগ বলতে তারা ইমারজেন্সি না ক্যাজুয়ালিটিকে বুঝাচ্ছে তা বুঝলাম না। দুই বিভাগেই সর্বক্ষণ চিকিৎসক থাকেন। ক্যাজুয়ালিটিতে টানা ৩০ ঘণ্টা (সেদিন এডমিশন থাকে সেদিন ২৪ ঘণ্টা আর পরের দিন ৬ ঘণ্টা রাউন্ড দিয়ে, ওটিতে দাড়িয়ে আর রোগীর কাজ করে) ডিউটি করতে হয়। সপ্তাহে ৩ টি বা ৪ টি এডমিশন প্রতি ইউনিটে। এইভাগে অমানসিক কাজ করার পরও সাংবাদিক নামধারী এই মিথ্যাবাদীরা এই কথা ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করছে।
আবার লিখেছে, “এমপির সঙ্গে রূঢ় আচরণের কিছু সময় পরেই চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুবরণ করেন আশিতীপর বৃদ্ধ আসকর আলী। তার চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন দেয়ার কথা বলতে গিয়ে নার্সের ঘুষিতে দাঁত হারিয়েছে রোগীর ছেলে আহসানউল্লাহ। এই রোগীর চিকিৎসা অবহেলার জন্যও ডা. মীমকে দায়ী করেন আহত আহসানউল্লাহ।
উপস্থিত লোকজন জানান, আশকার আলী নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ কিডনির সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বেডে ভর্তি হন। তার চিকিৎসার বিষয়ে জানার জন্য ছেলে আহসান উল্লাহ বিকাল ৩টার দিকে যান জরুরি বিভাগে। তখন দায়িত্বে ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. নুনজেরুল মোহসেন মীম। প্রায় ২০ মিনিট কথা বলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি আহসান। কারণ মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এই ডা. মীম। নিরুপায় অবস্থায় আহসান ফিরে যান ওয়ার্ডে। সেখানে সিনিয়র স্টাফ বয় কামাল উদ্দিনের কাছে গেলে তিনি কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলেন। কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পর কামাল উদ্দিন বিরক্ত হয়ে সেগুলো ছুড়ে ফেলে দেন। প্রতিবাদ করায় কামাল আহসানের (৫০) মুখে সজোরে ঘুষি দিয়ে দুটি দাঁতই ভেঙে দেন। গুরুতর আহত আসহানকে ডেন্টাল বিভাগে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত একশ্রেণীর ডাক্তার, বয় ও নার্সের মাধ্যমে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন রোগী এবং রোগীর স্বজনরা।”
ঘটনা সত্য হলে সে করেছে সে গ্রিভিয়াস হার্ট করেছে। তার শাস্তি হয়া উচিত। কিন্তু এতে ডাক্তার মীমের কি দোষ? তিনি কাজ করেন জরুরী বিভাগে। রোগী ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বেডে ভর্তি মানে সার্জারি ইউনিটে ভর্তি। তার চিকিৎসার বিষয়ে জানার জন্য ছেলে কেন জরুরী বিভাগে যাবেন? সার্জারি ইউনিটগুলো শহীদ মিনারের দিকে আর জরুরী বিভাগ চানখারপুলের দিকে। এটা রোগীর লোক জানবে না ওয়ার্ড ছেড়ে ১ কিমি দূরে যাবে আরেক বিভাগের ডাক্তারের সাথে কথা বলতে (যিনি কিনা তার রোগী সম্পর্কে জানেনই না) এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আর চিকিৎসার অবহেলা বলা হল, কি অবহেলা হয়েছে জানতে পারি? আর সবথেকে বড় কথা কিডনির সমস্যা হলে সার্জারিতে কেন ভর্তি থাকবে? হয় থাকবে ইউরোলজিতে বা নেফ্রলজিতে। এতেই বুঝা যায় যায় সাংবাদিকরা মিথ্যা খবর প্রচার করেছে।
এই প্রসঙ্গে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন, “যুগান্তরে আরব্যরজনীর কাহিনী পড়লাম।
তার একটা লাইন হলো, //”ইমার্জেন্সীতে উপস্থিত রোগীর স্বজন সিরাজ হোসেন বলেন, ডা. মীম প্রায়ই রোগীদের সঙ্গে এ ধরনের রূঢ় আচরণ করেন।”//
আচ্ছা ইমার্জেন্সী বিভাগে রোগীর স্বজনরা কতক্ষন অবস্হান করেন? ভর্তির টিকেট নিয়ে স্বজনরা তো ইনডোরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে দ্রুতই চলে যান। ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসার ”প্রায়ই” কি আচরন করেন তা ফলো করার সুযোগ বা সময় একজন রোগীর আত্মীয়ের আদৌ কি আছে?
মিথ্যা বলতেও কোয়ালিটি লাগে । আমাদের সংবাদপত্র সেটাও হারাইয়া ফেলছে।”
আসল কথা জানা যায় এক প্রত্যক্ষদর্শীরা কাছ থেকে, “ডা মীম একজন রোগীকে ম্যানেজ করে এসে দেখেন সাংসদ সাহেবা বসে আছেন তারই চেয়ারে। উনি সাংসদকে শুধু বলেছিলেন ‘এখানে অনেক গরম ম্যাডাম আপনি পরিচালক স্যারের রুমে বসুন’
.
এইটা বলাই ছিল ডা মীম এর দোষ। কসাইয়ের বাচ্চার এত বড় সাহস বলে দেয় কোথায় বসতে হবে! ডাকো পোষা সাংঘাতিকদের। এরপর এই হলুদ বর্জ্য মার্কা রিপোর্টের জন্ম।”