প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
৩ মে, রবিবার, ২০২০
– মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
আমরা জানি COVID-১৯ একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মূলত অদ্যবধি ভাইরাসকে পুরোপুরি ধংস করবার জন্য কার্যকরী কোন ওষুধ আবিস্কার হয় নি। তাই SARS, MERS, AIDS সহ ভাইরাসঘটিত অন্যান্য অসুস্থতায় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে অসহায় মনে হয়েছে।
নতুন কোন ওষুধ বাজারে আনতে গেলে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এজেন্সি (এফডিএ) এর অনুমোদন প্রয়োজন। শুধু ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাই নয়, প্রাণীর উপর ট্রায়াল, স্বল্প সংখ্যক স্বেচ্ছা প্রণোদিত রোগীর উপর পরীক্ষা, পোস্ট মার্কেটিং সার্ভিলেন্সের স্তর পেরিয়েই এই সংস্থা নতুন ওষুধ অনুমোদন দেয়।অদ্যবদি কোভিড-১৯ এ ব্যবহৃত হাইড্রোক্সি ক্লোরাইড , এজিথ্রোমাইসিনসহ অন্যন্য ওষুধ এফডিএ এর অনুমোদন ব্যতিরকে চিকিৎসকগণ নিজ ঝুঁকিতে রোগীকে প্রয়োগ করেছেন।
গত ১লা মে ‘Remdisivir’ ওষুধটিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহার করবার জন্য এফডিএ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে এই ওষুধ ব্যবহার হলেও প্রত্যাশিত সাফল্য আসে নি। তবে, এই ওষুধটি শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় ইমার্জেন্সি ইউজ অথারাইজেশনের মানদন্ডে ব্যবহার করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ধরণের রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম থাকে এবং ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়।
এই ওষুধটি শুধুমাত্র ইনজেকশন এবং ইনহেলার হিসেবে পাওয়া যায়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি বমি ভাব, কাঁপুনি, ঘাম হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
বেশীর ভাগ করোনা রোগী ওষুধ ব্যতীত বা সামান্য ওষুধেই ভাল হয়ে যায়। শুধু ভেন্টিলেটরে রাখা জটিল রোগীদের আরোগ্য সম্ভাবনার রোডম্যাপ Remdisivir অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেল। আশা করা যায় এইভাবে একদিন বিজ্ঞানের কাছে কোভিড-১৯ পদানত হবে।
কবে? কোন এক শুভ সকালে। হয়ত আগামীকালের পূবের সূর্য সেই সুখবরটি আমাদের দেবে।