প্ল্যাটফর্ম নিউজ, বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনায় আক্রান্ত হওয়া চিকিৎসক ডা. আবদুল বাসেত সুস্থ হয়েছেন। তৃতীয়বারও তার নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র পেয়ে গতকাল ৩০ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন ডা. আবদুল বাসেত।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল ডা. বাসেতের শরীর থেকে তৃতীয়বারের মতো নমুুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস(বিআইটিআইডি) ল্যাবে টেস্ট করা হয়। যার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
গত ২২ এপ্রিল তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে নেগেটিভ ফলাফল আসে।
ডা. আবদুল বাসেত ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা তরুণ চিকিৎসক। তিনিই ফটিকছড়ি-হাটহাজারী এলাকায় করোনা শনাক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি। কোনো প্রবাসী কিংবা ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জফেরত কোন ব্যক্তি কিংবা তাদের পরিবারের কারও সংস্পর্শে আসায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার অন্তত একমাস আগ থেকেই তিনি কর্মস্থলের বাহিরে যান নি।
ডা. আবদুল বাসেত চট্টগ্রাম জানান, ফটিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাশাপাশি দুটি উপজেলার মানুষ প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। দুই উপজেলাতেই বিদেশফেরত প্রবাসী থেকে শুরু করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জফেরত অনেক মানুষ আছেন। এপ্রিলের ১৫ তারিখ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফ্লু কর্নারে জ্বর-সর্দিতে ভোগা রোগীদের সেবা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. আবদুল বাসেত। ২১ তারিখ করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেওয়া হলে ২২ তারিখে নমুনার ফলাফল পজেটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরদিন বিকেল তিনটা থেকেই ফটিকছড়ি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপরে রাউজান উপজেলা ও পাশ্ববর্তী উপজেলা হাটহাজারীকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত উত্তর চট্টগ্রামে এই তিনটি উপজেলা বর্তমানে লকডাউন অবস্থায় আছে। এছাড়া দক্ষিণে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী উপজেলাও লকডাউন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক / আশরাফ মাহাদী