১৯ মার্চ, ২০২০
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত করার জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট তৈরি করেছে, তা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার(১৯ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আজ কিছুক্ষণ আগে আমরা সরকারের কাছ থেকে এ কিট তৈরির অনুমোদন পেয়েছি। এর কাঁচামাল যুক্তরাজ্য থেকে আসতে সাতদিনের মতো সময় লাগবে। কাঁচামাল এলেই আমরা উৎপাদনে যাব।”
এর আগে বুধবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এ কিট তৈরির ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দাবি করা হয়, স্বল্পমূল্যের ওই কিট দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এ ভাইরাসের টেস্ট কিট উৎপাদনের জন্য এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কাজ শুরু করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সুদক্ষ এই টিম।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের কিট তৈরি করলেও বাংলাদেশে এই প্রথম করোনা ভাইরাস টেস্ট কিট তৈরি করা হয়েছে। এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের ডায়াগনোসিস কিট (SARSPOC kit) তৈরির সময় সিঙ্গাপুরে কাজ করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনিই গণস্বাস্থ্যের এই টিমের অধিনায়কত্ব করছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এই কিটে ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এর জন্য স্পুটাম নেয়ার প্রয়োজন নেই। প্রথমে সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্তের নমুনা নেওয়া হবে। সেই রক্ত থেকে ‘সিরাম’ আলাদা করতে হবে। কিটে সেই সিরাম রেখে তার ওপর এন্টিজেনের বিক্রিয়া ঘটানো হবে। যদি বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তাহলে সন্দেহজনক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের প্রাথমিক উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রমাণিত হবে। বিক্রিয়া না হলে তিনি আক্রান্ত নন বলে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও US CDC সহ বিশ্বের কোন পাবলিক হেলথ অর্গানাইজেশনের সার্ভাইলেন্স ও ল্যাব প্রটোকলে RT-PCR ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে রোগ নির্নয়ের কথা উল্লেখ নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক / ফাহমিদা হক মিতি