জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারকে ফোনে হুমকি দেয়ায় জকিগঞ্জের এক সংবাদ কর্মীকে আজ জকিগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিন তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
জকিগঞ্জ থানার এস আই শরিফ উদ্দীনের আদালতে দেয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গত ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ইং তারিখ দিবাগত রাত কর্তব্যরত ডাক্তার খালেদ কে সরকারী নাম্বারে হাছিব পরিচয় দিয়ে রোগী সংক্রান্ত কথা বলে গালি গালাজ করে।
পরের দিন দুপুরে আবার একই ব্যক্তি হাছিব নাম বলে হাসপাতালে এসে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার খালেদের মাধ্যমে তার ফায়দা হাসিল করতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার হাসিবের সাংবাদিক পরিচয় পত্র দেখানোর কথা বললে হাসিব অপারগতা প্রকাশ করে ডাক্তার খালেদ আহমদকে অশালিন ভাষায় গালি গালাজ সহ ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়।
ডাক্তার খালেদ নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে ১৯ জানুয়ারী ২০১৬ইং জকিগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন যার নাম্বার ৬৯৪।
এর পর সাধারণ ডায়রিটি এক মাস প্রাথমিক তদন্তের পর নন এফ আই আর নং ০৫/১৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ইং ধারা ১৮৯ দঃবি প্রতিবেদন আদালতে পৌছলে দীর্ঘ ছয় মাস সাক্ষী পর্যালোচনার পর অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় সংবাদ কর্মী হাসিবকে দোষি সাব্যস্ত করে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
আদালতে প্রেরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে এস আই শরিফ তার তদন্তের মাধ্যমে হুমকি দেয়া নাম্বারটি কল লিস্ট (CDR) সংগ্রহ করে জানতে পারেন অভিযুক্ত সাংবাদিক কর্মী হাসিব তার নাম্বার হইতে ডাঃ খালেদ আহমদের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল নাম্বারে গত ১৮/০১/২০১৬ ইং ০০:৪৮:১৬ ঘটিকায় ৬৭ সেকেন্ড, এবং ০১:০২:১৮ ঘটিকায় ৫১ সেকেন্ড কথা বলে তখন উক্ত নাম্বার টি আলম নগর জকিগঞ্জ মোবাইল টাওয়ার এলাকায় ছিলো। কিন্তু এই নাম্বারটি রেজিস্ট্রেশন করা সোমা আক্তার, পিতা- মান্নান উদ্দীন, মাতা- কুশিদা বেগম, কুমারপাড়া, সিলেট সদর এর ঠিকানায়।
তদন্তে এস আই শরিফ আরো উল্লেখ করেন হাসিবের ব্যাপারে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্থানীয় লোকজন বলেন হাসিব দীর্ঘ দিন থেকে এই নাম্বারটি ব্যবহার করে আসছে। হাসিব নিজের নামে উক্ত সীম রেজিস্ট্রেশন না করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে আসছেন বলেও স্থানীয় প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়।
তথ্যসূত্রঃ জকিগঞ্জের ডাক ।