প্ল্যাটফর্ম নিউজ, রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
– ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশগুলিতে “পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা” করার আবেদন করলে, দক্ষিণ কোরিয়া এ কাজটির পেছনে কয়েক সপ্তাহ ব্যয় করেছিলো এবং কয়েকশ ড্রাইভ-থ্রু এবং ওয়াক-ইন সেন্টারগুলোর মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১২,০০০ নমুনা পরীক্ষা করে, ক্রমান্বয়ে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ও আরও বেশি মানুষকে পরীক্ষার আওতায় এনে দিনে ২০০০০ মানুষের পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়।
মোবাইল সেন্টারগুলি ১০ মিনিটের মধ্যে বিনামূল্যে পরীক্ষা পরিচালনা করে ফেলত, আর এর ফলাফলগুলি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ ব্যক্তির ফোনে প্রেরণ করা হত। ফলে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া ২৭০০০০ এরও বেশি লোককে পরীক্ষা করেছিল।
পরীক্ষার পাশাপাশি, বিশ্বের সবচেয়ে (সংযুক্ত) দেশ দক্ষিণ কোরিয়া প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কনটাক্ট ট্রেসিং করেছিলো। জিপিএস ফোন ট্র্যাকিং, নজরদারি ক্যামেরার রেকর্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের তথ্য এর সাহায্যে পরীক্ষায় পজিটিভ লোকেদের সাম্প্রতিক চলাচলের দিকে নজর রাখা হয়।
এই তথ্যগুলি কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলিকে যথাযথ সময়ে সতর্কতা জারি করতে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের পজিটিভ রেজাল্ট নিশ্চিত হওয়ার আগে কোথায় ভ্রমণ করেছিলো সেটি বের করতে সক্ষম করেছিলো।
প্রযুক্তির ব্যবহার কিভাবে জনস্বাস্থ্যে গুরত্বপূর্ণ সহযোগী ভূমিকা রাখতে পারে সেটা কোরিয়া করে দেখিয়েছে।