প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৮ জুলাই ২০২০, বুধবার
বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কয়টি হাসপাতাল ‘ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে’ রুপান্তরিত হয়েছে, গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য সকল কোভিড হাসপাতালের মতোই এখানে কেবল ‘করোনা রোগীদের’ সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে দৈনিক ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন।
কিন্তু এভাবে শুধু কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে উক্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ এই ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্বাভাবিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ। তাছাড়া গাজীপুরের মতো বৃহৎ জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও এটি। কোভিড ডেডিকেটেড হয়ে যাওয়ায় উক্ত এলাকার সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে বহু গুণে!
এই অবস্থায় কোভিড রোগীর পাশাপাশি নন- কোভিড রোগী ভর্তি করা হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ সম্ভব হবে এবং অসহায় রোগীরা সেবা পাবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস অত্র হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সুস্মিতা আফরোজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
“জেলার একমাত্র ‘কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ হওয়ায় সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৪-২০১৫ সেশনের ইন্টার্ন চিকিৎসকবৃন্দ কাজে যোগদান করতে পারছেন না। নানাবিধ অনিশ্চয়তায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তারা।”
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডা. সুস্মিতা আফরোজ নিম্নলিখিত দাবীগুলো তুলে ধরেন,
” ১.হাসপাতালে কেবল করোনা রোগী ভর্তি থাকায় সাধারণ রোগীর অভাবে ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৪-২০১৫ সেশনের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ব্যাহত হওয়া প্রশিক্ষণ অনতিবিলম্বে শুরু করা।
২.জেলার একমাত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ‘ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ হওয়ায় গরীব ও অসহায় রোগীরা যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা।”
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
উক্ত হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ খলিলুর রহমানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “নন-কোভিড রোগী ভর্তির কাজ প্রক্রিয়াধীন। অতি শীঘ্রই কোভিড রোগীর পাশাপাশি নন-কোভিড রোগীও ভর্তি করা হবে।”