প্ল্যাটফর্ম নিউজ,
শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশও ইতোমধ্যে করোনায় ভয়াল থাবায় আক্রান্ত। দিনদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নতুন করে আরো ১৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৮৯ জন রোগী শনাক্ত হলেন। আক্রান্ত এই ৮৯ জনের মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আছেন।
বিভাগটিতে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার একদমই কম! গতকাল বিকালে ২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ নিয়ে বিভাগটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,
“সুস্থ হওয়া দুজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই দুজন গতকাল (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি ফেরেন। এর আগেরদিন (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা ৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।”
বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বিভাগটিতে আক্রান্তের সংখ্যাগত দিক থেকে বরিশাল জেলা সর্বোচ্চ অবস্থায় আছে। এ জেলায় নতুন আক্রান্ত ১ জনসহ মোট ৩৪ জন, বরগুনায় নতুন ৫ জনসহ মোট ২৩ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৬ জনসহ মোট ১৯ জন, ঝালকাঠিতে ৬ জন, পিরোজপুরে ৫ জন ও ভোলায় ২ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর মারা গেছেন মোট ৪ জন। বিভাগটির ৬ জেলায় আক্রান্ত এই ৮৯ জনের মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীও আছেন। আছেন ২ জন ভারতীয় নাগরিকও।
বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় প্রথম দুজন রোগী শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ছয় জেলাতেই এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাওয়ায় সব জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সব ধরনের প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগে গত ৯ এপ্রিল প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তারপর ৫টি জেলায় ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ১৫ দিনে ভোলায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্ত গতকাল শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো ভোলায় ২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
করোনা প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে, নিজগৃহে অবস্থান করেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অংকন বনিক জয়