প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২১ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার
বয়স ৭০ ছুঁইছুঁই, এ বয়সেও জীবিকার তাগিদে ছুটতে হয় তাকে। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষটার রোজগারের সুযোগ বন্ধ সেই ২৫ তারিখ থেকেই। নিম্ন আয়ের এই সংসারে স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ বাচ্চা সবার ভরণপোষণে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন। আত্মীয় স্বজনের সাহায্যে কদিনই বা চলে আবার ত্রাণ নিতেও পারছেন না চক্ষুলজ্জায়। এমনই এক পরিবারকে সম্পূর্ন রোজার মাসে চলে যায় এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছেন ‘ইনোভেশন ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন’ সংস্থাটি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তালিকা-
চাল- ১৫ কেজি
মসুর ডাল- ২ কেজি
তেল- ২ লিটার
পেয়াজ- ২ কেজি
আটা- ২ কেজি
ছোলাবুট- ২ কেজি
আলু- ৫ কেজি
ডিম- ২ ডজন
খেজুর- আধা কেজি
মুড়ি- ১ কেজি
সংস্থাটির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ডা. তানভীর আহমেদ জানান, ‘বর্তমানে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত যারা খাবার খুঁজতে পারেন না তাদের খাদ্যদ্রব্য দেয়া হচ্ছে। বাচ্চা থাকলে তাদের দুধ ও দেয়া হচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে কোন ছবি প্রকাশ করা হয় না।’
সংস্থার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা কিভাবে রাখা হয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, আমরা ঘুরে ঘুরে যাচাই করি কার প্রয়োজন। উদাহরণস্বরুপ যে মানুষদের আমরা এক সপ্তাহের খাবার দিয়েছি,তার আগে একদিন পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে সাংবাদিক সেজে মানুষের সাথে কথা বলেছি। যাচাই করেছি কে সত্যিকারের অভাবী।’
করোনার আক্রমনের শুরুতেই এই সংগঠনের ফেসবুক পেজ এবং মোবাইলের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এছাড়া ফেসবুকে সচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রচারনা চালানো হয়। সরকারী ছুটি শুরু হলে ছিন্নমূল প্রায় ৪৫০ মানুষকে রাতের খাবার প্রদান করা হয় এবং প্রায় একশত বাছাইকৃত পরিবারকে এক সপ্তাহের খাবার প্রদান করা হয়।
সংগঠনটি অসহায় ও গরীব রোগীদের জন্য হেলথ ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন, বৃদ্ধাশ্রমে সহায়তা প্রদান, সুবিধা বঞ্চিতদের স্কুল পাঠশালায় যৌথ অর্থায়ন করছে এই সংগঠনটি। করোনার আক্রমনে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক / নাহিদা হিরা