প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ০১ মে ২০২০, শুক্রবার:
ডা. শামীম রিজওয়ান
কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বাড়ীতে যে সকল নিয়ম মেনে চলবেন:
১. বাড়ীতে থার্মোমিটার, মাস্ক, জীবাণুনাশক সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণ করুন।
২. পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং নিরীক্ষণ করুন। এক্ষেত্রে প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাপমাত্রা পরিমাপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩. পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দিন। এতে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল অব্যাহত থাকবে।
৪. জীবাণুনাশক দ্বারা বাড়ি ও তার আশেপাশের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখুন।
৫. পরিবারের সদস্যদের কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত, উল্লেখ্যঃ
-একটি তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না।
-ঘন ঘন কাপড় এবং লেপ তোষক রোদে দিন।
-ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না।
-হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে নিন অথবা কনুইয়ের ভাঁজে রেখে হাঁচি কাশি দিন।
৬. সুস্বাস্থ্যের জন্যঃ
-নিয়মিত সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
-একটি বৈজ্ঞানিক ডায়েট প্ল্যান করুন।
-নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
-পর্যাপ্ত ঘুমান এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধি করুন।
৭. বাইরে থেকে ফিরে এবং হাঁচি-কাশির দেয়ার পর হাত সাবান-পানি ব্যবহার করে ধুয়ে নিন অথবা দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন জীবাণুনাশক (Sanitizer) দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
৮. বন্য প্রাণী খাওয়া বা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। হাঁস-মুরগি ও ডিম সহ অনান্য খাবার সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন।
৯. বেড়াতে যাওয়া, দাওয়াত ও আড্ডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০. অসুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেঃ
-বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
-ভিড়ের জায়গায় যাবেন না।
-বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন। এক্ষেত্রে সাধারন কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট।
-মাস্ক পরা এবং খোলার নিয়ম অনুসরণ করুন।
-মাস্ক পুনঃব্যবহার এর ক্ষেত্রে, প্রতিবার ব্যবহারের পর হালকা গরম পানিতে সাবান গুলিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিবেন।
১১. জনাকীর্ণ এলাকায় যাতায়াত বা অন্যান্য লোকের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় অবশ্যই মাস্ক পরুন।
১২. আপনি যদি মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে থাকেন, তবে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন বা কমিয়ে আনার/ সীমিত রাখার চেষ্টা করুন।
১৩. কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং জীবাণুমুক্তকরণের দিকে মনোযোগ দিন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং মাস্ক পরুন।