দুই দিন আগে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী আকস্মিক পরিদর্শনে ঢাকা মেডিক্যালে যান।সাধু সাধু।অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাধুবাদ জানাই।স্বাস্থ্য বিভাগের কর্ণধার তিনি।তিনি এলান দিয়ে যাবেন,এলান না দিয়ে মিসকীনের বেশে যাবেন,তিনি চুপি চুপি স্পাইয়ের বেশে যাবেন।এটা উনার একান্তই ব্যক্তিগত এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার সামষ্টিক উন্নতির ব্যাপার।
তাঁর ঢাকা মেডিক্যালে সারপ্রাইজ ভিজিটের ফলাফল এরপর দিনই জাতি পেয়েছে।
কী ফল?
দুই জন শিক্ষার্থী চিকিৎসকের বদলীর আদেশ।
আর কী ফল?
যে রুগী ফ্লোরে ছিল সে কী বিছানায় উঠতে পেরেছে?
উত্তর না।
দেয়ালে দেয়ালে পানের পিকের দাগের কী পরিবর্তন হয়েছে?
উত্তর না।
ঢাকা মেডিক্যালের আশে পাশে ঘুর ঘুর করা দালাল গুলো কী দুদিন যাবৎ কী লাপাত্তা?
উত্তর, তারা বহাল তবিয়তেই আছে।
ঢাকার বিভিন্ন আইসিইউতে রোগী ভাগানো পার্টি কী মাননীয় মন্ত্রীর পরিদর্শনের পর থেকে উধাও।
উত্তর না।
তাহলে ফল কী?
কর্তব্যে অবহেলার জন্য দুই জন চিকিৎসককে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বদলী।
ব্যাপারটা মশা মারতে কামান দাগানোর মতো হয়ে গেলো না?
যে চিকিৎসকরা কর্তব্যে অবহেলা করছেন তাদের অবহেলা দেখাই কী মন্ত্রীর কাজ?
তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের কাজ কী?
স্থানীয় প্রশাসন এই দুইজন চিকিৎসককে কয়বার শো-কজ করেছে?
যদি একবারও না হয় তবে কেনো?
চিকিৎসকদের প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শনের দোষে কী তারা দুষ্ট নন?
তাদের বিচার কী হবে?
২
আমার কোনো আক্ষেপ নেই। কারন আমরা ‘দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া ন্যাতাইয়া পরা জাতি’।কিন্তু দুইজন চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলায় বদলীর জন্য যদি মন্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যালে সারপ্রাইজ ভিজিটে যেতে হয় তবে দুই জন চিকিৎসক কর্তব্যকালে আহত হলেও মাননীয় মন্ত্রী্র দেখতে যাওয়া উচিৎ।কারন তিনি আমাদের অভিভাবক।কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসককে মেরে পুকুরে ভাসিয়ে দিলেও,ধর্ষন করে খুন করে ফেললেও মাননীয় মন্ত্রীরা দেখতে যান না।
৩
মাঝে মাঝে গাইতে ইচ্ছা করে…লাভের মাঝে কি লাভ হইলো, গলাতে কলঙ্কের ফুল…
লিখেছেন: সেলিম শাহেদ
পরিমার্জনা: বনফুল