শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০
ডা. আজাদ হাসান
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, ২১তম ব্যাচ
কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্রটি আমার মতে সংশোধন করা প্রয়োজন। এই পরিপত্রে কতগুলো দূর্বলতা বা অসম্পূর্ণতা রয়ে গিয়েছে। যেমনঃ
সরকার কর্তৃক বেসরকারী হাসপাতাল সমূহকে বলা হচ্ছে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে। কিন্তু কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করতে যেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীরা কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত বা সংক্রমিত হলে, তাদের জন্য কি ধরনের সেফটি মেজার বা সুবিধাদি দেয়া হবে? তা এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ হতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় নাই।
যেহেতু কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা উভয়ই একই ধরনের সংক্রমনের তথা জীবনের (স্বাস্থ্য) ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাই, এই প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে উভয়ের ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রণোদনা এবং সেইফটি/নিরাপত্তা বুহ্য থাকা প্রয়োজন।
এছাড়া এই পরিপত্রটির আর একটি অসম্পূর্ণ দিক হলো, কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার সাথে জড়িত আরো অনেক চিকিৎসক রয়েছেন, কিন্তু তাদেরকে স্পষ্টভাবে এই পরিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। যেমনঃ
১) ইন্টার্নি চিকিৎসক।
২) পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্সে অধ্যয়নরত এবং কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেজ-এ অধ্যয়নরত চিকিৎসক(পোস্ট -গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট), তথা সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসকবৃন্দ।
৩) তাছাড়া এই রোগটি এতটাই ছোঁয়াচে বা সংক্রমণ প্রবণ যে, এটা যে কেবল চিকিৎসককেই আক্রান্ত করে ক্ষান্ত হচ্ছে তা নয়, একবার যেই ঘরে ঢুকছে, সেই ফ্যামিলির কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। সুতরাং প্রণোদনার সাথে সাথে চিকিৎসকদের চিকিৎসা/স্বাস্থ্যবীমা এবং জীবন বীমা চালু করার বিষয়গুলোও যৌক্তিক ভাবে সামনে চলে আসে।
তাই, আমি আলোচ্য বিষয় সমূহের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বিষয় সমূহ আন্তরিকতার সাথে ও সহানুভূতির সাথে বিবেচনায় নিয়ে, উক্ত পরিপত্রটি সংশোধনের অনুরোধ রাখছি।