বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে গত শনিবার ছাত্রলীগের কর্মীরা পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুরও চালানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা গতকাল মানববন্ধন করেন।
এ ঘটনায় আহত চিকিৎসক বখতিয়ার আল মামুন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে গতকাল রোববার আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গতকালই এজাহারভুক্ত আসামি ছাত্রলীগ কর্মী শামীম গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী মানিক হাওলাদার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী সজীব হোসেন ও শামীম গাজীসহ ১০-১২ জন বিকেলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বখতিয়ার আল মামুন রোগীকে দেখে একটি এক্স-রে করতে বলেন। সজীবরা রোগীর এক্স-রে করে নিয়ে আসেন। কিন্তু এক্স-রে প্রতিবেদনে রোগীর পায়ের ভাঙা স্থানটি শনাক্ত হয়নি বলে চিকিৎসক মামুন আবারও বাইরে থেকে একটি ডিজিটাল এক্স-রে করে আনতে বলেন। এতে সজীবরা ক্ষিপ্ত হন। সন্ধ্যায় এ নিয়ে মামুনের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সজীব ও শামীম গাজীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালান।
চিকিৎসক বখতিয়ার আল মামুন অভিযোগ করেন, মানিক হাওলাদারের পায়ের আহত স্থান সাধারণ এক্স-রেতে শনাক্ত না হওয়ায় ডিজিটাল এক্স-রে করতে বলা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর দপ্তরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ও চিকিৎসার যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করে। তাঁকে পিটিয়ে জখম করে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্য চিকিৎসক ও কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ভর্তি করেন।
হামলার অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে ছাত্রলীগের কর্মী সজীব ও শামীম গাজী বলেন, কমিশন নেওয়ার জন্য ওই চিকিৎসক দুবার এক্স-রে করতে বলেন। এ নিয়ে শুধু কথা-কাটাকাটি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিম আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও বরিশাল সিভিল সার্জন এ টি এম মিজানুর রহমানকে জানানো হয়েছে।
থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
Chila hobaya na adi kora neta hobeya