২৭ জানুয়ারি ২০২০: দাঁতের ফিলিং শব্দটার সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে ফিলিং কী, কখন করা হয়, কী ধরনের হতে পারে ইত্যাদি। এই লেখাটি এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার উদ্দেশ্যেই লেখা।
ফিলিং কী
দাঁতের সবচেয়ে উপরের স্তরের নাম এনামেল। যখন এই এনামেল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, তখন তা পরিস্কার করে স্থানটি ভরাট করে দেওয়া হয়, যা দাঁতের ফিলিং নামে পরিচিত।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ফিলিং আবিষ্কৃত হয়েছে যেমন – এমালগাম, কম্পোজিট, গ্লাস লোনোমার ইত্যাদি। এর মধ্যে কম্পোজিট ফিলিংই বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও সর্বজন স্বীকৃত।
কম্পোজিট ফিলিং
বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি সৌন্দর্য সচেতন তাই তারা এখন দাঁতের রঙের সাথে মিলিয়ে ফিলিং চায়। এই ফিলিং কম্পোজিট ফিলিং নামে পরিচিত।
কম্পোজিট ফিলিং মূলত রেসিন বা প্লাস্টিক ও গ্লাসের মিশ্রণে তৈরি এবং এতে দাঁতের জন্য উপকারী ফ্লোরাইড দেওয়া থাকে।
কম্পোজিট ফিলিং এর সুবিধা
১। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি বিভিন্ন শেডের পাওয়া যায় যা মানুষের দাঁতের রঙের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়।
২। কম্পোজিট ফিলিং ভেঙ্গে গেলে শুধু ভাঙ্গা অংশে ফিলিং করা যায়।
৩। সামনের ও পিছনের দিকের সব দাঁতে ব্যবহার করা যায়।
৪। শুধুমাত্র দাঁতের ক্ষয়রোগ নয়, এটি দাঁতের ভাঙ্গা অংশে, দাঁতের মাঝের ফাঁকা কিংবা ডায়াস্টেমা বন্ধ করতে অথবা রং নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত স্বাভাবিক দেখাবার জন্য করা হয়ে থাকে।
৫। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত কোনো উপাদান এতে ব্যবহৃত হয় না।
৬। ফ্লোরাইডযুক্ত থাকে, যা দাঁতের জন্যে উপকারী।
কম্পোজিট ফিলিং এর অসুবিধা
১। সাময়িক একটা শিরশির অনুভূতি হতে পারে।
২। খরচ তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি।
নিয়মিত প্রতিদিন ২ বার দাঁত ব্রাশ, ফ্লসিং, সুষম খাবার খাওয়া এবং বছরে দুইবার দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে শ্রেষ্ঠ পন্থা।
ডা. তাসনিম ওয়াকিয়া
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি
মার্কস মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট