আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক (প্রকৃচি) ও বিসিএস সমন্বয় কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতনকাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এ বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। মন্ত্রিসভা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি তিনি একা করেন না বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাইরের সবার সঙ্গে আলোচনা শেষ। এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব।’
তা হলে কি অনমনীয় অবস্থান থেকে সরে এসেছেন—এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো সময়ই আমরা অনমনীয় অবস্থানে ছিলাম না।’
বৈঠকে প্রকৃচির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নতুন বেতনকাঠামো থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটা সরকারের জন্য কোনো ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বঞ্চিত করার একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।
বৈঠকে বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, ‘বেতনও বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু কেউ খুশি হলো না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর মাধ্যমে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের ক্ষতি পোষানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সরকারি চাকরিজীবীদের মনে হতাশা-ধোঁয়াশা ও কুয়াশা সৃষ্টি করবে।’
বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।