প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, রবিবার
আজ, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২০, ইং তারিখ রবিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ও বিএসএমএমইউ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এর চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা (ভিট্রিও- রেটিনা) অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন।
আগামীকাল ১৪ই ডিসেম্বর “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস”। আর আজ ১৩ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসের একদিন আগে বিএসএমএমইউ হতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির চিঠি পেয়ে নিজের অনুভূতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রকাশ করেন অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা। তিনি বলেন,
“শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঠিক আগের দিন আজ হাতে পেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (ভিট্রিও-রেটিনা) পদে পদোন্নতির চিঠি। আলহামদুলিল্লাহ্। আমার জীবনের সব আনন্দের ভিতরে মিশে থাকে কান্নার একটি অশ্রুধারা। বাবা, তোমার ৪৯ তম মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে এ আমার সারা জীবনের অর্জনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
১৯৬৯ সালের ২৬শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ডা. নুজহাত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় আলবদর আল শামসদের হাতে শহীদ হন তাঁর পিতা ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী। তাঁর মা শিক্ষাবিদ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ- সাভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।
অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরীর স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। ডা. নুজহাত রাজধানীর উদয়ন স্কুল থেকে এসএসসি ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস (অপথ্যালমোলজি) করেন তিনি। রেটিনার ওপর ভারতের এলভিপিএল থেকে ফেলোশিপও সম্পন্ন করেন প্রখ্যাত এই চিকিৎসক। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয় বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার হিসেবে। দীর্ঘ নয় বছর তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে কর্মরত ছিলেন। এরপর সরকারি চাকুরি ছেড়ে যোগ দেন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে। গত চার বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অপথ্যালমোলজি সোসাইটির বিনোদন সম্পাদক এবং একাডেমি অব অপথ্যালমোলজির কোষাধ্যক্ষ। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইংরেজি ও বাংলায় নিয়মিত কলাম লেখেন ডা. নুজহাত। একজন সুবক্তা ও উপস্থাপক হিসেবেও তিনি সমধিক পরিচিত। টেলিভিশনে বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও রাজনীতি বিষয়ক টক শোতে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ডা. নুজহাত চৌধুরীসহ মোট ৩৫ জনকে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত সবার হাতে আজ চিঠি তুলে দেওয়া হয়।
প্ল্যাটফর্ম পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পাকে প্রাণঢালা অভিন্দন।