“এই ছুটির কয়টা দিন বৃষ্টি দিওনা করুণাময়।তাহলে ঈদের পরে মহামারি হয়ে যেতে পারে।হসপিটালগুলো ভর্তি একদম।এই পরিষ্কার অমৃত সদৃশ জল মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।”
ডেঙ্গু নিয়ে হয়তো খুব চিন্তিত ছিলো সদ্য ডাক্তারি পাশ করা ‘শজিমেক’ এর ২০১১-১২ সেশনের ডা.পলাশ দে। দেশের কথা ভাবতো,দশের কথা ভাবতো আর একারনেই হয়তো সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ করেছিলো ছেলেটা।
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত পলাশ কখনো কি ভেবেছিলো বসবাসের অযোগ্য করে গড়ে তোলা এ শহরের অব্যাবস্থাপনার স্বীকার সে নিজেও হতে পারে কখনো??
গত বৃহস্পতিবার তুমুল বৃষ্টিতে গ্রিন রোডের রাস্তায় পানি জমে একাকার । পলাশ দে পানি থেকে বাঁচতে উপরে ঝুলে থাকা রড টা ধরে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল, ফলাফল ? “মৃত্যু”।
সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে পানির মধ্যে ডুবে ছিল। lungs থেকে গেলন গেলন পানি বের করতে হয়েছে।
সহপাঠীরা জানালো তাঁরগুলো যেভাবে পরেছিল ঠিক সেভাবেই আছে , খুঁটিটাও জায়গা মত আছে।পলাশ তো চলে গেছে । বলা যায় খুন হয়েছে।আরও পলাশ যেন এরকম ভাবে না হারাতে হয় কিংবা খুন না হতে হয়।
ডা:পলাশের এ অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারে নি তার সহপাঠীরা,মেনে নিতে পারে নি তার কলিগরা। তাই তো সঠিক বিচারের দাবীতে, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুজে বের করে শাস্তির দাবীতে আজ ১১ই আগষ্ট, সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক “মানববন্ধন” এর ডাক দিয়েছেন তারা।