ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথি অন্ধতের অন্যতম প্রধান কারন। কিন্তু আমরা এ ব্যপারে খুব একটা সচেতন নই। জিপি থেকে সব স্পেশালিষ্টরাই ডায়াবেটিক রোগী ডিল করেন। ডায়াবেটিক রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি এর জটিলতা নির্নয় ও এর চিকিৎসা খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা হার্ট, কিডনি, কোলেস্টেরল ও ব্রেনের ব্যপারে যতটা ভাবি চোখ বা অন্ধত্ব নিয়ে ততটা ভাবিনা।
চোখে ডায়াবেটিস এর প্রধান জটিলতা হল ছানি ও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথি। ছানি অপারেশন করলে পূর্বের দৃষ্টি ফিরে আসে। কিন্তু ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথির ক্ষেত্র ব্যপারটা সম্পুর্ন ভিন্ন। সব্বোর্চ চিকিৎসা করেও হারানো দৃষ্টি ফিরে পাওয়া যায় না। এ রোগের চিকিৎসা বেশ জটিল ও ব্যয়বহুল। সুতরাং প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
প্রতি চার জন ডায়াবেটিক রোগীর এক জন এ জটিলতায় ভোগেন। বর্তমানে দেশে প্রায় এক কোটির ও বেশী রেজিস্টারড ডায়াবেটিক রোগী আছে। আসল সংখ্যা আরো বেশী। সুতরাং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথির প্রাদুর্ভাব বেশ প্রকট।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যথির ঝুকি সমুহ হলোঃ
১.ডায়াবেটিস পাচ বছরের বেশী
২.অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
৩.হাইপারটেনশন
৪. ডিসলিপিডিমিয়া
৫.এনিমিয়া
৬.নেফরোপ্যথি
ডায়াবেটিস রোগীদের বৎসরে একবার রেটিনা পরীক্ষা করা উচিত। তাহলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব।
……………….
ডা: শফিকুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, অপথ্যালমোলোজি ডিপার্টমেন্ট,
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল