আজ ২৯ শে অক্টোবার, দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিতসকদের উপর রোগী দ্বারা হামলা হলে, কয়েকজন চিকিতসক গুরুতর আহত হন ।
আজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে হৃদরোগের এক রোগী মারা যাবার পরিপ্রেক্ষিতে রোগীর লোকজন সিসিইউতে ভাংচুর করে। এছাড়া ২ জন চিকিতসক কে মারধর করে,হাত ভেংগে দেয়,নারী চিকিতসককে কাঁচ দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাঃ ওয়াদুদ এর ক্লাসে ঢুকে মারধরের চেষ্টা করে।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কালে চার জন আনসার সদস্য রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারপর রোগীর লোকজন জরুরি বিভাগেও চিকিৎসক এর গায়ে হাত তোলে এবং সরকারি জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
এই রোগীকে আজকে ডাঃ ওয়াদুদ রোগীকে কয়েকবার দেখেছেন এবং তিনি নিজে ২০ মিনিট এই রোগীর সার্বিক অবস্থা নিয়ে রোগীর আত্নিয়দের সব ব্যপারে অবগত করেছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দিয়েছিলেন।
এছাড়া সাথে দুইজন চিকিতসককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রোগীকে সার্বক্ষণিক দেখভালের করার জন্য। চিকিৎসকরা নিজেদের সবটুকু চেষ্টা করেও রোগী বাঁচাতে পারে নাই। এরপর রোগীর লোকরা ডাঃ ওয়াদুদ সহ অন্যান্য চিকিতসকদের উপর হামলা করে ।
ঢামেকহা ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিষদ(ইচিপ) সভাপতি ডা: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন ” এমতাবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক নেত্রীবৃন্দ, মধ্যম সারির চিকিৎসক এবং ইন্টার্নদের নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলছে।এই নিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা আমাদের সবার দাবী।যথা সময়ে আমাদের নেয়া প্রতিবাদ এবং কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।
ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিষদ(ইচিপ), সাধারণ সম্পাদক ডা:মো:মোশাররফ হোসেন সিজান ক্ষোভের সাথে জানান “আপনাকে চিকিৎসা দেয়ার পুরস্কার যদি এই হয়,তাহলে আমি আপনাকে কেন চিকিৎসা দিবো?এভাবে আর কতদিন?”
শেষ খবর পর্যন্ত জানা গেছে, ঢামেকহ পরিচালক মহোদয় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং দুই দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।