প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৮ মে ২০২০, সোমবার
ঢাকায় চালু হয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম করোনাভাইরাস হাসপাতাল। রবিবার (১৭ মে) দুপুরে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা চিকিৎসার জন্য ২ হাজার বেডের এই অস্থায়ী হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে যার মধ্যে ৭১টির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান যে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতাল। এখানে অত্যাধুনিক ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে। এছাড়াও অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। আইসিইউ ব্যবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই কম নয় বলেই তিনি দাবি করেন। জাহিদ মালেক আরও জানান যে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন আরও অন্তত ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া নন কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক। করোনাভাইরাস চিকিৎসায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলছে। পাশাপাশি আমেরিকার উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে, যা সরকারের কাছে ওষুধ মজুদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
লকডাউন শিথিল করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,
“সরকার প্রথম থেকেই একটি সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। যখন জরুরি ছিল, তখনই লকডাউন করা হয়েছে। যখন শিথিল করা প্রয়োজন, তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যা কিছু করছে, তা ভেবে-চিন্তেই করছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনাভাইরাস মোকাবেলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে।”
নিজস্ব প্রতিবেদক/ শরিফ শাহরিয়ার