প্লাটফর্ম নিউজ, বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
নিজের করোনা সংশ্লিষ্ট উপসর্গ এবং করোনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসার তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভুল তথ্য দিচ্ছে কতিপয় রোগী। এতে যেমন বিড়ম্বনায় পড়ছেন চিকিৎসকরা, তেমনি ঝুঁকির মুখে পড়ছে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে।
গত শনিবার বিকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১ এ নুরুল আমিন নামের ৬৫ বছর বয়সী এক রোগী ভর্তি হন। তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর ছেলে, মেয়ের জামাই এবং আরো একজন মহিলা। তাঁরা জানান যে মাদারীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় এসেছেন।
রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইদিনই তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, অ্যানেস্থেশিয়োলজিস্ট অ্যানেস্থেসিয়া প্রত্যাহার করার সময় রোগীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এতে সেখানে উপস্থিত সকল চিকিৎসক ও নার্সরা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
এরপর রোগীর লোকদের জেরা করা হলে, সত্য স্বীকার করে তাঁরা জানায় যে তাঁরা মাদারীপুর থেকে আসার পথে নারায়ণগঞ্জে কয়েকদিন ছিলেন। উল্লেখ্য যে, রোগীর মেয়ের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে এবং এই ঘটনার সময়েই তাঁর মেয়ের জামাই হাসপাতাল থেকে পলাতক হন। তাঁর সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর দিন উক্ত রোগীর করোনা টেস্ট করা হয় এবং পজিটিভ পাওয়া যায়। অতঃপর সার্জারি ইউনিটটি ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে রোগীর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা ১১জন চিকিৎসককে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
আজ বিকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উক্ত চিকিৎসকদের পাঁচজনের করোনা টেস্ট নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে এবং বাকিদেরও স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডা. মো. বায়েজিদ আরেফিন শান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক/ অভিষেক কর্মকার জয়