(রম্য)
সে অনেক দিন আগের কথা। এক আধেক চাঁদের জোৎস্না রাতে বাড়ির উঠুনে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলাম। বরাবরেরমতোই হা করে ঘুমানোর কারণে চাঁদের আলো পড়েছে মুখের ভেতরে । আর তাতেই ঘুম আসছে না বেচারা আক্কেল দাঁতের । তখন অন্য সব দাঁত তাকে ঘুম পারাতে জীবনের গল্প শুরু করে।
1st molar: কি আর শুনবি রে তোরা!!! আমরা যখন আসি তখন তো তোদের কারো জন্মই হয় নি। এখানে সব দুধের দাঁত ছিল । আমরা যে পরিমাণ চকলেট আর কলমের হেড চিবিয়েছি তা তোরা কোনদিন জন্মেও দেখিস নি।
এই শুনে central incisor: হ্যা গো দাদা, আমরা কিছুটা দেখেছি । তবে আরো কিছুটা দেখতে পেতাম বটে। ওই দুধের দাঁত শয়তানগুলো তো নড়তেই চাচ্ছিলো না। তারপর একদিন ভিতর দিয়ে মাথা বের করে বাবুর মা কে বললাম । আর সাথে সাথেই উনি বাবুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিমটা দিয়ে টেনে বেয়াদব দুটোকে সরিয়ে আমাদেরকে জায়গা করে দিলেন। 🙂
Lateral incisor: আর আমরা যখন আসলুম তখন তো incisor আর molar দাদারা বাদে বাকি সবাই চকলেট খেয়ে খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেছে । প্রতিদিন বাবুর মা ওদের পেট থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চকলেট বের করতো, তখনও চিকিত্সা চলছে আর চলছে ।
এই শুনে premolar রা : আমরা বাপু এই জায়গা জমি আর চকলেট এর ঝামেলায় ছিলাম না। Lee way নামে একজন আইন করে আমাদের অতিরিক্ত জায়গা দিল আর আগের প্রজন্ম চকলেট খেয়ে মারা যাওয়ায় বাবুর মা আমাদের আর চকলেট দেন নি। বড্ড বাঁচা বেঁচেছি বাপু।
Canine: আমি আর কি বলবো, সামনের সবার পরে জন্ম হলে যা হয় আর কি …. 🙁 🙁 সবাই বলে, ”সুতা কাটো আর সুতা কাটো, সুতা কাটো আর সুতা কাটো ।” মাঝে মাঝে মন চায় molar দাদার পেছনে চলে যাই, আর ভাল্লাগে না।
এই শুনে 2nd molar: ও দাদা canine, ভুলেও ওকথা মুখে আনিও না। এখানে যে পরিমাণ পিশাপিশি চলে তাতে তোমার ঐ শরীর নিয়ে পারবে না, বুঝলে।??? এই বাচ্চাটা পয়সা, মার্বেল থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা আমাদের উপর পিশায় নি। বড় কষ্টে আছিরে ভাঊ।
আক্কেল দাঁত এতক্ষণ না ঘুমিয়ে চুপচাপ সব শুনতেছিল। কিন্তু সব দাঁত যখন ”আক্কেল ঘুমিয়েছে” ভেবে চুপ করে গেল তখন হঠাৎ আক্কেল দাঁত বলে উঠলো…..
“আমাদের কে কি বেআক্কেল পাইছেন!!!!! দাঁড়াইয়া থাকার জায়গাই নাই, এইখানে শুইয়া ঘুমাবো কেমনে!!!!! 😀 😀
Moral of the story: Chronology of permanent teeth eruption.
(Dr. Ali Ishaque
D46
Dental surgeon
Sadar hospital, sunamganj.)