নিউজ ডেস্ক, ১১ জুন, ২০২০, বৃহস্পতিবার
করোনা মহামারীতে দেশের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। তবে বেতন না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ২৬০ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। যারা কমপক্ষে দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এমনকি ঈদের বোনাসও পান নি তারা।
নতুন চিকিৎসকদের অনেকেই বেতন না পেয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকে বাসা ভাড়াও দিতে পারেন নি। চিকিৎসকেরা বলছেন যেখানে আর্থিক প্রণোদনা পাওয়ার কথা, সেখানে নিয়মিত বেতন না পাওয়াটা তাদের জন্য দুঃখজনক।
“প্রতি মাসের শুরুতে কিছু ফিক্সড খরচ থাকে যেটা করতে হয়, সময় মত বেতন না পেলে বাড়ি ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক খরচপাতি গুলো করতে সমস্যা হয়,” জানালেন হাসপাতালের একজন কর্মরত চিকিৎসক।
ঐ হাসপাতালেরই একজন নারী চিকিৎসক বলেন, “আমরা যেহেতু এ প্রফেশনে এসেছি আমরা তো কাজ করেই যাবো, রোগীদের সেবা দিবোই, তারপরও আমরা তো একদম রোবট না, আমরা মানুষ ,আমাদের আসলে টাকা পয়সা লাগে। টাকা পয়সা ছাড়া আসলে কারোর জীবনই চলে না।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের আবাসিক চিকিৎসক ও ফ্লু কর্নার ইনচার্জ,ডা. মুহাম্মদ আল আমিন সেতু বলেন,
“প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণী সহ প্রায় আড়াইশোর মতো ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীরা কেউ কেউ এক মাস, কেউ দুই মাস, এমনকি ঈদের বোনাস ও উৎসব ভাতাটাও পায়নি। যেখানে আর্থিক প্রণোদনা পাওয়ার কথা, সেখানে নিয়মিত বেসিক বেতন না পাওয়াটা তাদের জন্য হতাশাজনক। কোন উৎসাহে তাহলে তারা বৈশ্বিক একটা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়বে।”
বাজেট স্বল্পতার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া। তিনি বলেন, “আমাদের এখান থেকে অনেকজন ওএসডি ডাক্তার ট্রান্সফার হয়ে চলে গেছে।তারা চলে গেলেও তারা আমাদের কোডের টাকা গুলো তুলে ফেলেছে। যার কারণে একটু সংকট হয়েছে। আমরা মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীকে জানিয়েছি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব কেও বিষয়টি অবহিত করেছি এবং আমরা আশা করি আগামী মাস থেকে আমাদের এই বেতনের সংকটটি কেটে যাবে।”
স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাইছেন চিকিৎসকেরা।