প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, শুক্রবার
ডা. মারুফুর রহমান অপু
আমি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ম্যাডামের বাসায় ঢুকে তার উপর হামলা করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবী জানাচ্ছি। দোয়া করি তিনি যেন দ্রুতই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স এর চৌকশ চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এ হামলার ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাঝেই প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ও পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আগামী সপ্তাহের মাঝে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ইউএনওদের নিরপত্তায় আনসার নিয়োগ দেবার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ও আবাসস্থলের নিরাপত্তার স্বার্থে এই চমৎকার সিদ্ধান্তের প্রতি সাধুবাদ জানাই।
এই সিদ্ধান্তের সাথে অল্প একটু সংযোজন করে বলতে চাই মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে প্রান্তিক ধাপে (ইউনিয়ন) সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যে সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করেন তারা হলেন চিকিৎসক এবং দেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও মিডিয়া রিপোর্ট বলে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হন চিকিৎসকেরাই। এটি শুধু বাংলাদেশই নয়, অন্যান্য দেশের জন্যেও সত্য। অন্যান্য দেশে বহু আগেই এ ধরনের অপরাধীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা আছে যেখানে রাষ্ট্র নিজেই মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করে আসামীদের দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিত করে। তাই সকল ধরনের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়েই দাবি করছি মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন কর্মকর্তাদের নিরপাত্তা দেওয়ার পাশাপাশি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ও আবাসস্থল (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) এ আনসার/পুলিশ বা এ ধরনের সশস্ত্র আইন শৃংখলা বাহিনী সার্বক্ষনিক নিযুক্ত করা হোক। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সকলেই আশা করি চিকিৎসক সরকারি কর্মকর্তাদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হবেন, কোন ধরনের বৈষম্য করবেন না।