বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
দেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাক কর বৃদ্ধি: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু তামাক কোম্পানি এবং তাদের পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠন আইন সংশোধনের বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি, আইন সংশোধন হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। তারা রাজস্ব হারানোর কথা বললেও তামাক কোম্পানি বছরে যে পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে তার থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয় তামাক জনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়। তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এখনই ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ট্যোবাকো কন্ট্রোল এফসিটিসি’র আলোকে সংশোধন করা প্রয়োজন।”
সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, “তামাক কোম্পানির লক্ষ্য শুধু মুনাফা অর্জন। জনস্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। একই সাথে তারা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য নানা কূটকৌশলে কিশোর ও তরুণদের সিগারেট সেবনে উৎসাহী করছে। তাই তাদের কূটকৌশল বন্ধে এবং কিশোর ও তরুণদের সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধন করতে হবে।”
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী