দেশে প্রতি ১০ হাজার শিশুর ১৭ জন অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে (ওএসডি) আক্রান্ত। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) বোর্ড অব গভর্নরসের পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের (এএসডি) প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে- ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১৭ জন অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে (এএসডি) আক্রান্ত। শহরাঞ্চলে এ হার গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বেশি। ছেলেদের মধ্যে আক্রান্তের হার মেয়েদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া, মায়ের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলে এবং উচ্চ অর্থনৈতিক অবস্থানে থাকা পরিবারের মধ্যে এএসডির প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেছেন, ইপনার মতো একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান শুধু চিকিৎসাসেবা নয়, গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে দেশের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে।
ডা. শাহিনুল আলম বলেন, ইপনার মতো প্রতিষ্ঠানে শুধু সেবামূলক কাজ নয়, গবেষণাতেও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মেডিক্যাল অডিট এবং ধারাবাহিক মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে মানসম্পন্ন চিকিৎসা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই, ইপনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক।
সভায় ইপনার চলমান কার্যক্রম, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, বাজেট এবং থেরাপি সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দা তাবাসসুম আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস