দেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা সম্ভবঃ সংসদে রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ প্রস্তাব।
আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব সাধারণ আলোচনায় উঠে আসে, বাংলাদেশের বিশ্বমানের চিকিৎসার সম্ভাবনা নিয়ে।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. দেবী শেঠী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছেন তা উদ্ধৃত করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তারা ঠিক বলেন না। আমাদের দেশে যে বিশ্ব মানের চিকিৎসা সম্ভব, তা বিদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকরাও স্বীকার করেন। এটা এখন প্রমাণিত সত্য।
আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এই আলোচনায় আরো অংশ নেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, বেগম ইসমাতআরা সাদেক, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মো. একাব্বর হোসেন, কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বেগম আয়েশা ফেরদাউস, মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, বেগম শাহীন আক্তার, জাকিয়া তাবাসসুম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: ডা. দেবী শেঠী ভারত থেকে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার চিকিৎসা যতটুকু হয়েছে তা সঠিকভাবেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
ওই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডা. রুহুল হক বলেন, ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। সেখানে আমাদের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা শুরু করেন। সেটি যে সঠিক ও বিশ্ব মানের ছিল তা ডা শেঠীর কথাতেই উঠে আসে।
সুতরাং বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তারা ঠিক বলেন না। আমাদের দেশে যে বিশ্ব মানের চিকিৎসা সম্ভব তা বিদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকরাও স্বীকার করেন। তবে আমাদের দেশেও অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি।
ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের মাহাবুব আরা বেগম গিনি বলেন, দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই উন্নয়নে কারিগর মনে করেন। কারণ তার আমলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে বিরোধী দলের অনেক নতুন ও যুবক ভোটাররা তাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তের বাইরে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এমনকি দেশের সরকারী-বেসরকারী কর্মচারীও প্রশাসন-পুলিশের অনেকেই শেখ হাসিনাকে আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। ফলে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন।
নিউক/কালেরকন্ঠ