প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১০ অক্টোবর ২০২০, শনিবার
গতকাল ৯ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুর ১২ ঘটিকার থেকে সন্ত্রাসী হামলায় নিজস্ব কর্মস্থান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিয়াউদ্দিন মো. সাকিব আহত হন।
গতকাল পানিতে ডুবে যাওয়া একজন শিশুকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা, যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নপূর্বক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে, মৃতদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করেন কর্তব্যরত এই চিকিৎসক। তারা মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি গেলে মৃতদেহে পেশির সংকোচন লক্ষ্য করলে শিশুটির স্বজনরা দলেবলে হাসপাতালে এসে শিশুটির বেঁচে থাকা দাবী করতে থাকে এবং চিকিৎসকের উপর বেধড়ক হামলে পড়ে।
মূলত এটি ছিলো, মৃত্যু পরবর্তী কয়েক ঘন্টার মধ্যে পেশি সংকোচন বা কাঠিন্য অবলোকন করা। মৃত্যু পরবর্তী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা ‘রাইগর মরটিস’ হিসাবে স্বীকৃত। মৃত্যু পরবর্তী জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক উপজাত মাত্র। এরপরও চিকিৎসককে দায়ী করে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়। চিকিৎসক জিয়াউদ্দিন মোঃ সাকিবের মাথায়, হাতে, তলপেটে, কুচঁকিতে আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান।
এই আক্ষেপে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ মানববন্ধন করেন।
কিন্তু আফসোস মামলা, কালোব্যাজ-মানববন্ধন, মীমাংসায় চাপা পড়ে যাবে। এভাবেই নিরাপত্তার অভাবে বছরের পর বছর খুন-জখম হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তাহলে কিভাবে চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করবেন!