নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী’ করা হয়েছে। গত ৮ জুলাই জারি করা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়।
১৩.১১.২০০৮ তারিখের স্বাপকম/চিশিজ/বেসমেক ও ডেকহা-১/২০০৮/৮৩৩ স্মারকমূলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী নামকরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা বাংলাদেশ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত (নং-৪৫.১৬৮.১২৮.০০.০০.০৩৩.২০১৩ (অংশ-১) ৪২০ এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপনটি ৮ জুলাই জারি হলেও গত ৪ আগস্ট এর কপি কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে আসে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর সরকার নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ এর প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। ২০১৪ সালের ৮ জুলাই থেকে এর নাম পরিবর্তন করে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
আব্দুল মালেক উকিল ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তিনি কারাবাস করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। আব্দুল মালেক উকিল একাধারে নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আ.লীগের সভাপতি ছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রথম মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালের ১৭ অক্টোবর মারা যান তিনি।
২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এক প্রজ্ঞাপনে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
ওই বছরই ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহানী চৌরাস্তা এলাকার মূল ক্যাম্পাসে কলেজটির সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়।