প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার
করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন চাওয়া হলে বা বেতন চেয়ে চাপ প্রদান করা হলে আইনি ব্যবস্থা নিবে শিক্ষাবোর্ড।
সাধারণ ছুটিতে বন্ধ থাকা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিতে বারণ করা হয়েছে। এরপরও কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, বিকাশ নম্বর পাঠিয়ে টিউশন ফি পরিশোধের জন্য বলছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে বলা হয়েছে, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো টিউশন ফি আদায়ে চাপ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে টিউশন ফি না নিতে অনুরোধ করে আসছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এই বিষয়ে ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’-এর সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘বন্ধের সময় শিক্ষার্থীর টিউশন ফি মওকুফ করতে হবে। সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে সেই প্রণোদনা বেরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দিতে হবে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকরাও উপকৃত হবে”।
তবে দেখা গিয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা টিউশন ফি আদায়ের পক্ষেই। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিন্তু গত দুই মাস শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠান সচল রাখতেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি চাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে চাপ সৃষ্টি না করতে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এরপরও যদি কোনো অভিযোগ আসে, আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ সব জায়গাতেই একই ভাবে ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছে বেতন চেয়ে চাপ প্রদান করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আইনি কোনো নোটিশ আসে নি।