প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, বুধবার
চিকিৎসক- সাদা এপ্রোন গায়ে, স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে সমাজের চিরাচরিত নিয়মানুসারে শুধু হাসপাতালের চার দেয়ালের ভেতরে যাদের জীবন অতিবাহিত হওয়ার কথা। তবে এই চিকিৎসকই সম্প্রতি এই স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে অনেক স্বপ্নবাজ জেদী মানুষজন তাদের কৃতকার্যের মাধ্যমে তাক লাগিয়ে দেন গোটা সমাজ, এমনকি পুরো পৃথিবীকেও।
তেমনি দুইজন হলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের কার্ডিওভাস্কুলার সার্জন ডা. জেনজিবুল তারেক। বাংলাদেশের প্রথম দুই চিকিৎসক হিসেবে বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার করেন তাঁরা।
গত ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখ সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে সাঁতার শুরু করে তাঁরা। ১৬.১ কিলোমিটার সাঁতরে পার করতে ডা. জেনজিবুল তারেক সময় নেন ছয় ঘণ্টা ৫০ মিনিট এবং ডা. সাকলায়েন রাসেল ৬ ঘন্টা ৪১ মিনিট সময়ে সাঁতরে পার হয়ে জয় ছিনিয়ে আনেন।
গত ছয় মাস ধরেই তাঁরা সাঁতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর জন্য তাঁরা এর আগে দু’বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাইফুল ইসলাম রাসেলের (যিনি এবারেও সাঁতারে অংশ নিয়ে সবচেয়ে কম সময়ে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন) অধীনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এছাড়াও এবার মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয় ৭৯ সাঁতারু।
সাঁতারে বিজয়ী ভাস্কুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেলের ভাষ্যমতে, “ডাক্তার হিসেবে সাঁতারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছেি। দ্বিতীয়ত, সেন্টমার্টিনকে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এর মতো জায়গাকে রক্ষা করতে হলে সরকার ও জনমানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। এর পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়েও সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
একই সাথে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিনকে রক্ষার জন্য সরকার ও জনমানুষকে একযোগে কাজ করার এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়েও সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।