অতীত:
-সারা দুনিয়ায় যখন ৩টা ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ছিল। সেই ৩টার ১টা ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
-পৃথিবীর প্রথম ICU প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫০ সালে। আর বাংলাদেশে প্রথম ICU হয় ১৯৫৭ সালে IDCH এ। এই উপমহেদেশের প্রথম।
-ঢামেক প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বিখ্যাত মাইক্রোস্কপিক ল্যাব।
-অনেক প্রবাসি ও ভিনদেশীও বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা করিয়ে যায় আমাদের খবরের বাইরে,সাশ্রয়ে এত ভাল চিকিৎসা পৃথিবীতে বিরল।
-বৃক্ষমানবের শল্যচিকীৎসা,গুলিবিদ্ধ মৃত মায়ের গর্ভস্থ সন্তানের সফল অপারেশন,সিঙ্গাপূর থেকে ব্যর্থ তোফাতহুরার স্বল্পব্যায়ে সফলচিকিৎসা,বোনম্যরো,বাইপাস,লিভার,কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট,সফল টীকাদানকর্মসূচী(আমাদের সাফল্য ইপিআইয়ে ৭৬%,কানাডার৮০%,ডেনমার্ক ৮৯%)…পৃথিবী তাক্ লাগানো সংবাদ।
-বাংলাদেশের বড় মেডিকেলগুলোর(বিশেষত সরকারি পুরনো মেডিকেল) ফ্লোরে যে চিকিৎসা পাওয়া যায়,অনেক কোরপরেট বেডেও বহুমূল্যে তা প্রায় একই(বজ্র আঁটুনি ফসকা গিরো)
–যুক্তরাষ্ট্রের একজন জিপির ভিজিট-৭০-১০০ডলার(=প্রায় ৫৬০০-৮০০০টাকা),বিশেষজ্ঞের৫মিনিটের ভিজিট২০০-৩০০ডলার(=১৬-২৪হাজার টাকা মাত্র)।
-বিভিন্ন প্যাকেজ ইন্সুরেন্স অনুযায়ী উন্নত বিশ্বে চিকিৎসা দেয়া হয়,নইলে চড়াদামে কিনতে হয় চিকিৎসাসেবা।বাংলাদেশের মত নূন্যতমের চেয়েও নূন্যতম দামে(ভিক্ষাতুল্য ৫টাকা-১০০টাকা সরকারি ফি) চিকিৎসা সেথায় অকল্পনীয়।
-বাংলাদেশের মত বিনা প্রেসক্রিপশনে/অগামগাজগার প্রেসক্রিপশনে প্যারাসিটামলও মনে হয় পাওয়া যাবেনা। তাইত প্রবাসীদের দেখা যায় ভ্যানিটি ব্যাগে দেশ থেকে ওষুধ নিয়ে যেতে।
-পৃথিবীর একমাত্র ফাইলেরিয়া গবেষনা কেন্দ্র বাংলাদেশে। সেটা সৈয়দপুরে। একমাত্র কালাজ্বর গবেষনা কেন্দ্র ময়মনসিংহ এ।
-পৃথিবীতে বারডেমের মত এন্ডোক্রাইন ডিজেজ নিয়ে এতো পেশেন্ট ডিল করে পৃথিবীর এমন কোনো কোনো হাসপাতাল নাই।
-ICDDR’B কে চিনে সারা দুনিয়া কলেরা ও ডায়রিয়া রিসার্চ সেন্টার হিসেবে,স্যালাইন আবিস্কার না করলে বিশ্ব বুঝতো ডায়রিয়া কাকে বলে
তাহলে আমরা কিসে নাই এগিয়ে??? শুধু একটু উদ্যম ও প্রযুক্তির ছোঁয়া পেলে আমরাই শীর্ষে থাকব।”
সাম্প্রতিক:
-বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার রেঙ্কিং অনুযায়ী স্বাস্থ্যব্যবস্থার মানে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম,ভারত১১২তম,সার্কে কেবল শ্রীলঙ্কা এগিয়ে(৭৬তম)
-বিএসএমএমইউয়ের(পিজি) চেয়ে ভেলোর বাদে ভারতের সব হাসপাতাল রেঙ্কিংএ পিছিয়ে
-১৯৭১ এ আমাদের গড়আয়ু ছিল ৩৯বছর,পার্শ্ববর্তী ভারতে ছিল ৫০। আজ আমাদের ৭৪এর কাছাকাছি,যা ভারত এখনো ছুঁতে পারেনি।
-২০০০সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় স্বাস্থ্যের যে৩টি টার্গেট ধরা হয় তাতে বাংলাদেশ এতটাই সফল যে রোলমডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে
-৯০এ অনূর্ধ্ব৫বছরের শিশুমৃত্যু হার ছিল১৪৬জন,২০১৩তে ৪৬,যা ২০১৫এর লক্ষ্যমাত্রার(৪৮) আগেই অর্জিত হয়েছে।
-১৯৯০এ মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১লাখে ৫৭৪,২০১৩তে ১৭০,২০১৬এ ১৩৪।শিশুমৃত্যু হাজারে ৪৭মাত্র।
………………………
ডাঃ রোদ্দুর মোঃ নুরুল হুদা