আজ ৩১ ডিসেম্বর , ২০১৭ ।
সুক্ষ্ম মেধা বিকাশে বাংলাদেশ সবসময়ই এগিয়ে।পারিপার্শ্বিকতার ফলে সব হয়তো বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না।পরিস্ফুটিত হতে যাওয়ার আগেই হয় অন্ধকারে নিমজ্জিত। তেমনি একটা সুক্ষ্ম মেধার কারুকাজ নিয়ে কাজ করেছেন একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মমিনুল ইসলাম বাঁধন।
চোখ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শারীরিক অংশ। চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে,রেটিনা তার অন্যতম। কালার ফানডাস ফটোগ্রাফ (colour fundus photograph) রেটিনা বিশেষজ্ঞদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র। যার সাহায্যে চোখের রেটিনার সকল প্রকার রোগের ছবি তোলা হয়ে থাকে। যেমনঃডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারনে চোখে রক্তক্ষরণ, চোখের মধ্যে ফরেন বডি রেটিনা ছিড়ে গেলে এমন অনেক কঠিন ও জটিল রোগের ছবি তোলা হয়। কালার ফানডাস ফটোগ্রাফ যন্ত্রটির বাজার দাম আকাশচুম্বী(প্রায় ৫লক্ষ থেকে শুরু করে ২০ লক্ষ অবধি হয়ে থাকে)।
অতিরিক্ত বাজার মুল্যের ফলে সব হাসপাতালে এই যন্ত্র টি ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এখন দেশীয় ও সল্পব্যয়ে সহজলভ্য পদ্ধতির মাধ্যমে কাজটি যেকোনো রেটিনা বিশেষজ্ঞগন নিজেই অনায়াসে করতে পারবে।বানাতে পারবে নতুন প্রযুক্তির কালার ফানডাস ফটোগ্রাফ। মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হলেই এটা করা সম্ভব।
উপকরণ গুলো নিন্মোক্তঃ
১। একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন
২। ২৫০ml এর একটি খালি বোতল
৩। প্লাস্টিক মোবাইল কাভার
৪। ২০ পাওয়ারের লেন্স(যেটা যেকোনো অপটিকস সপে পাওয়া যায়)
৫। সুপার গ্লু
পদ্ধতির ধাপসমুহঃ
১। প্রথমে বোতলের একপাশ কেটে নিয়ে সেখানে +২০ পাওয়ারের লেন্স টি স্কস্টেপ বা গ্লু দিয়ে লাগাতে হবে।
২।বোতলের মুখ খুলে ভিতরে গোলাকার ভাবে কাটতে হবে এবং মুখটি প্লাস্টিক মোবাইল কাভারের সাথে গ্লু লাগাতে হবে।(যেখানে ক্যামেরার জন্য ছিদ্র থাকে সেই অংশে)
৩। কাভারটি মোবাইলে লাগিয়ে ফ্লাশ অন করতে হবে এবং বোতলের মুখ মোবাইল ও মোবাইলের কাভার সহ বোতলের সাথে সাধারণ ভাবে লাগিয়ে দিতে হবে।
৪। ফ্লাশের আলো বোতলের ভিতর দিয়ে +২০ পাওয়ারের লেন্সের মাধ্যমে বের হবে।
৫। তখন মোবাইলের ঝুম অপশনে গিয়ে +২ magnification করে বোতলটি চোখ থেকে ০৩ ইঞ্চি দূরে থেকে adjust করলেই স্ক্রিনে রেটিনার ছবি দেখা যাবে।
৬। এর জন্য মোবাইল ক্যামেরা ও +২০ পাওয়ারের লেন্সের মধ্যে ৬ইঞ্চি দূরত্ব থাকবে।
এরপরেই রেটিনার ছবি উঠলে ছবি তোলা সম্ভব। বাংলাদেশে এই পদ্ধতি তে এটাই প্রথম এতো সল্প খরচে কালার ফানডাস ফটোগ্রাফ যন্ত্র তৈরী করা সম্ভব হয়েছে।
উপকারিতাঃ
খুবই কম খরচে রেটিনার ছবি তুলতে পারার কারনে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোন ডাক্তার নিমিষে মোবাইলে রেটিনার ছবি তুলে বিভিন্ন মাধ্যমে (যেমনঃ ইমেইল,ফেসবুক,ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপে) চক্ষু বিশেষজ্ঞ অথবা রেটিনা বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো এবং এই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশ এর যেকোন প্রান্তরে বসেই রোগ সনাক্ত করা ও চিকিৎসা দেওয়া সক্ষম। এতে খরচও কম হবে চিকিৎসা ও সহজলভ্য হবে।
এই ডিজিটাল সহজলভ্য ও সল্প খরচের চিকিৎসা সেবা সফল ভাবে ব্যবহার করে সম্ভাবনাময় আরো একটি দিক চিকিৎসা শাস্ত্রকে করুক প্রজ্বলিত।
তথ্য ও ছবি ঃ ডা. মমিনুল ইসলাম বাঁধন
Wonderful invention.
Heartfelt thanks & congratulations ?.
It is a great ‘landmark’ to serve the humanity.
It was crafted earlier and available in market by D-Eye, Exmedic, PEEK etc.But using pet bottle keeping other parts as usual like others is the simplest form is appreciated. We should not use the word invention (Ref: PEEK).
আমাদের দেশের ছেলেরা কিছু করতে পারছে জেনে ভাল লাগলো।
We must appreciate the young doctor ডা. মমিনুল ইসলাম বাঁধন, congratulation, keep up good work. His work, no doubt is an innovative work, this way a costly medical equipment can be cheaper in future.
congratulation ডা. মমিনুল ইসলাম বাঁধন.
বাংলাদেশের যেকোনো হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ভিসিটিং সময় ,ফোন নম্বর জানতে ভিসিট করুন http://www.findoutadoctor.com
নিজের দেশের মানুষের গল্প শুনলে গরব হয়