বাংলাদেশের পতাকা উড়ুক বিশ্ব মঞ্চে
“ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল এওয়ার্ডস সাউথ এশিয়া ২০১৭”
১। বৃক্ষমানব আবুল বাজানদার-বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
২। মি.মি.মায়ের কোল গুলিবিদ্ধ শিশু-অধ্যাপক আশরাফুল হক কাজল, তাঁর টিম এবং নবজাতক আইসিউ বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
৩। চাপাতির আঘাতে আহত খাদিজার সুস্থতা-স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের কন্স্যাল্টান্ট ডাঃ এ এম সাত্তার ও তাঁর টিম এবং সিআরপি
৪। মাত্র ২ হাজার টাকায় কৃত্রিম হাত তৈরি করা বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ডঃ রব্বানী(যিনি ইসিজি থেকে সিটি স্ক্যান মেশিন পৃথিবীর সর্বনিম্ন খরচে বানাতে পারেন)
৫। নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুশৃংখল ও সর্বোচ্চ সেবাই নয় যে হাসপাতালের পরিচালক রাত ৯-১০টার সময়েও রাউন্ড দিতে আসেন,
৬।ডাঃ ফাতেমা যিনি ঈদ যাত্রায় লঞ্চে মৃত্যুপথ যাত্রী এক মা’এর জীবন রক্ষা করেন
৭। ডাঃ আসমা আখতার যিনি সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের “১টাকার চিকিৎসা” কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন(কেবল চিকিৎসাই নয় নিজ বেতনের প্রায় সব টুকু এওব শিশুর ওষুধের পেছনে খরচ করেছেন)
৮। থ্যালাসেমিয়া ফাউণ্ডেশনের ডাঃ রবিন, যার এক ভাই থ্যালাসেমিয়ার ভুক্তভোগী, ভাইয়ের সেবা করতে গিয়ে তিনি এ মূহুর্তে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ২২ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগীকে সেবা করে যাচ্ছেন,
৯। অটিজমের শিশুদের সর্বোচ্চ সেবা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসোর্ডার এন্ড অটিজম ও প্রয়াস স্কুল,
১০।। চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য/২৪ ঘন্টার লাইভ হেলথ এন্ড হেলথ ফ্যাসিলিটি ডাটা বেইজের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, Omar Qayum ভাই সহ আই ই ডিসি আর, এর সেই টিম যারা গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে চিকুনগুনিয়া সনাক্তকরণ এবং এই ভয়াবহতা প্রেডিকশেন করেছিলেন।
অথবা নেত্রকোণার আটপাড়ার ডাঃ এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ডাঃ এর মত আরো অসংখ্য মেডিকেল অফিসার যারা মাসের পর মাস দিনে ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সাত দিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষকে একা একটানা সেবা দিয়ে গেছেন(ধোবাউড়ার ৪ লাখ ২৭ হাজার মানুষের জন্য এখন মাত্র ৪ জন এম ও এবং এই মূহুর্তে এই এইচ এন এফপিও ডিউটি করছেন) তাঁদের কোন না কোন ভাবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
এবং এই তালিকা শেষ হবার নয়, ৩/৪ বছর সপ্তাহে নূন্যতম ৪০ ঘন্টা বিনামূল্যে সেবা দেয়া অনারারিরাও পুরষ্কারের কম যোগ্য নয়।
আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং হওয়া উচিত। কিছুক্ষণ আগে একটা মেইল পেয়েছি। পৃথিবীর অন্যতম সেরা মেডিকেল জার্নাল বিএমজে থেকে (ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল)। তাঁদের ভারত অফিস ২০১৭ সালে সাউথ এশিয়া এওয়ার্ড প্রদান করতে যাচ্ছে। আমরা আগ্রহীরা চাইলেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে কোন সেরা উদ্যোগকে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে নমিনেট করতে পারি।
উপরের তালিকার ১০টিই হত প্রযোজ্য ক্যাটেগরিতে পড়বে না। তবু আপনারা চাইলে হয়ত আরো ভালো কোন বাংলাদেশী উদ্যোগ কে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পৌঁছে দিতে পারেন। আশা করি বাংলাদেশের সেরা চিকিৎসক, অধ্যাপকগণ হয়ত এরকম আরো অনেক অনেক ইনভাইটেশন, গ্র্যান্ট, স্কলার্শিপের তথ্য জানেন। দয়া করে শেয়ার করুন। এবং সম্ভব হলে এই এওয়ার্ডের জন্য অধ্যাপক, পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট বা সিনিয়র চিকিৎসকেরা প্রযোজ্য চিকিৎসক, প্রতিষ্ঠান কে নমিনেট করবেন।
বিস্তারিত জানতে আগ্রহীরা আমাকে মেইল করতে পারেন, dr@[email protected]
খুব চাই দশটা ক্যাটাগরির অন্তত তিন টা বাংলাদেশ জিতুক। ( Research Paper of the Year, Post Graduate Thesis of the Year চাইলে বাংলাদেশের কেউ পেতেই পারে।
চমেক ২০০৫-৬
স্বত্ব প্ল্যাটফর্ম
তালিকায় উল্লেখিত বিভাগ/ব্যক্তিদের হয়ে তাঁদের কোন শুভাকাঙ্ক্ষী নমিনেট করতে পারেন, এবং যদি সম্ভব হয় অভিজ্ঞ কেউ করলে জেতার সম্ভাবনা বাড়বে।