যে কোনো চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট এবং বিয়ের আগে বর-কনের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্ব আছে কিনা তা পরীক্ষা করে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, নারকোটিসকস কন্ট্রোলের মহপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে সকল চাকরিতে যোগদানের আগে ডোপ টেস্ট এবং কাবিন রেজিস্ট্রির পূর্বে বর-কনের থ্যালাসেমিয়া এবং মাদকের অস্তিত্ব সম্পর্কে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে ৫ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টর অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৬৫ ভাগ তরুণ। বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ এই মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের সালিশী পরিষদের তথ্য অনুযায়ী নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে বিবাহের অক্ষমতা (পুরুষত্বহীনতা)। হেরোইন, ইয়াবা অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে বিবাহের সক্ষমতা (পুরুষত্ব) পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নং দফায় বর ও কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নং দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যৎ সংসার এবং অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।’
সংবিধানের ২১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিক জীবন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে গ্রহণ করার কথা উল্লেখিত আছে । আদালত সেই আইনের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত আদেশ দিয়েছে ।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার
নূর ই আফসানা
মুগদা মেডিকেল কলেজ
সেশন -২০১৫-১৬