কয়েকটি বিষয়ে মানুষ কিছুই বুঝছে না। যেমন:
প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ কেন?
উত্তর: হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাবেই সব সংগঠন বলেছে রোগী থেকে রোগী, রোগী থেকে ডাক্তার, আর ডাক্তার থেকে রোগী- এই সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য।তাই চেম্বার বন্ধ করেছি আমরা। যেমনটি মসজিদ বন্ধ করেছে প্রায় সব দেশ।
পাশাপাশি প্রায় সবাই টেলিমেডিসিনের সাহায্যে পরামর্শ দিচ্ছেন। সেবার বা চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের কিন্তু কাজের পরিবেশ টা তো দেবেন। অন্যান্য দেশে ডাক্তারদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন সংস্থা; সেখানে আমাদের দেশে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বাবুর্চি পালিয়ে যায়। আর কোয়ারান্টাইনে থাকা ডাক্তারগণ বরখাস্ত হয়। কি মজা!
অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করছেন যে তখন মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রছাড়া যুদ্ধ করেছেন এখন কেন নয়?
উত্তর: আমরা কি বলেছি আমরা যুদ্ধ করবো না? আমরাই তো হাসপাতালে কাজ করছি। আর হাসপাতাল থেকে বাসায় জীবাণু সহ ফিরে আসছি সমগ্র পরিবারের ঝুঁকি নিয়ে সে কথা কি ভেবেছেন? এরকম অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমগ্র পৃথিবী সুরক্ষা নিয়ে যুদ্ধ করছে আর আমাদেরকে বলেন খালি হাতে যুদ্ধ করতে! কেন?
আপনি কি একদিন হাসপাতালে আসবেন আমাদেরকে সাহায্য করতে? এটা কি তুলনা করার মত কোন বিষয়! কোভিড যোদ্ধা ডাক্তারকে যে বাসা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে তার সমাধান কি করেছেন?
অনেকে দেখি ডাক্তার আক্রান্ত হলে খুশী হয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। আরে ভাই, ডাক্তাররাই রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে চিকিৎসা দেয় যেখানে বাড়ির লোকজন লাশও বাড়িতে নিচ্ছে না, দাফন করছে না। তাদের সহযোগী হিসেবে অন্যান্য জরুরি সার্ভিস সমুহ কাজ করলেও বাকি সবাই কিন্তু ছুটি তে আছে।
যারা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের উদ্দেশ্যে:
১. হাসপাতালে কাজ করতে আসুন। হয়তোবা পুরস্কারও পেয়ে যেতে পারেন।
২. আপনারা কি মোদী, বরিস জনসন সহ বিশ্ব নেতাদের অনুসরণ করেন? তাহলে তাদের মত এগিয়ে আসুন।
৩. যে হারে হাসপাতাল/জেলা /ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছে বা লক ডাউনে যাচ্ছে তাতে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। তখন লোকজন কার কাছে চিকিৎসা নেয় সেটাও ভবিতব্য বিষয় ।
বিশ্ব এই মহামারীর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারলেও আমরা করছি না কেন! বালিতে মুখ গুঁজে থাকলে কি ঝড় থেমে যাবে?