স্পেন ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিং প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান সিমাগো ইন্সটিটিউশন র্যাঙ্কিং (সিমাগো রিসার্চ গ্রুপ এবং স্কপাস) এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মত স্থান করে নিয়েছে। গবেষণার দিক থেকে বাংলাদেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ৫ম অবস্থানে আছে এবং বিশ্ব র্যাংকিং এ মেডিকেল উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৬৪০তম। একই রকম প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স বিএসএমএমইউ থেকে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছে ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ, ভেলোর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়। অধিভুক্ত ৪২টি মেডিকেল কলেজ/মেডিকেল শিক্ষা ইন্সটিটিউটে ৯০টির অধিক কোর্সসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদে মেডিকেল উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার পাশাপাশি ১৯২৪ শয্যার হাসপাতালে ৫৩টি অন্তবিভাগের পাশাপাশি বহির্বিভাগে দৈনিক ৫ হাজার রোগী সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
আজ(১/১/২০১৭) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত “এ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশ” এর আয়োজিত সায়েন্টেফিক সেমিনার এবং উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসানের “এশিয়া এক্সেলেন্স এডুকেশন লিডারশিপ এওয়ার্ড ২০১৬” এওয়ার্ড প্রাপ্তি পরবর্তী রিসিপশন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান নিজ বক্তব্যে এ সুখবর দেন। অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান নিজ বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পটভূমি আলোচনা করেন। ১৯৬৯ সালের ১১ দফার একটি দাবী থেকে প্রায় ৩০ বছর লেগে যায় বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব জনাব মোঃ আলীর কাছে অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণ আইপিজিএমআর কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রস্তাবের রিপোর্ট পেশ করেন। সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে মাত্র এক সপ্তাহের মাঝে ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয়। প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
এ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিসিয়ান্স অফ বাংলাদেশ আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বারডেমের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ খাজা নাজিমুদ্দিন, বিসিপিএসের অনারারি সেক্রেটারি অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল জলীল চৌধুরী, আরেকজন আমন্ত্রিত অধ্যাপক তিনটি সংক্ষিপ্ত সেশন পরিচালনা করেন। এ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিশিয়ান্স অফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাঃ সেলিমুর রহমান স্যার, জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ আরাফাত, বিএসএমএমইউ এর পক্ষ থেকে প্রোভিসি মহোদয়গণ এবং মাননীয় ট্রেজারার, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ বিগ্রেডিয়ার(অব) আব্দুল মালিক বক্তব্য প্রদান করেন।
ডাঃ মোহিব নীরব,
চিকিৎসকদের পক্ষে।
১১ টা ইউনিভার্সিটি কোনটা কোনটা? সবার জানা দরকার দেশে বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ এর ভাল সুযোগ কোথায় কোথায় আছে। র্যাঙ্কিং এর লিঙ্কটা আছে?
রেফারেন্স প্লিজ
http://www.scimagoir.com/rankings.php?country=BGD
ধন্যবাদ,Qamar Hejazi।
🙂
এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে রিসার্চ-কে (৫০%)। এখানে একটু উন্নতি করতে পারলে আমাদের অবস্থা অনেক ভাল হত। বিএসএমএমইউ পিছিয়ে গেছে রিসার্চ এঃ একেবারে ১০০ তম পারসেনটাইল (http://www.scimagoir.com/institution.php?idp=387)। আর একটা জিনিস কনফিউজিং। All regions countries এবং All sectors সিলেক্ট করলে রেজাল্ট আরেক রকম আসে। জিনিসটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার।Qamar Hejazi
ওদের methodology তে কেম্নে করে র্যংকিং এই নিয়ে অনেক কিছু লিখা দেখলাম। তেমন কিছু বুঝি নাই 🙂
Channel iতে রিপোর্ট দেখলাম সন্ধ্যা ৭টার খবরে।
৬৪০ তম।ভালো হয়েছে। আরো ভালো করতে হবে।