মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০
“সবিনয় নিবেদন”
আসসালামু আলাইকুম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে আপনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সফলভাবে এখনো পর্যন্ত এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে। যা জাতি হিসেবে বিশ্বে আমরা গর্ববোধ করে বলতে পারি। বাংলাদেশের বেসরকারী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এখানে আমি তাদের বর্তমান অবস্থার চিত্র আপনার কাছে তুলে ধরব।
বেসরকারী মেডিকেলে যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে তাদের সম্পর্কে অনেকেই একটি ভুল ধারণা পোষণ করেন, তা হলো এসব প্রতিষ্ঠানে যারা পড়াশোনা করে তারা সবাই অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। টাকা না থাকলে প্রাইভেটে পড়বে কেন? এধরনের কথাও অনেকে বলে থাকেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ ছাত্র ছাত্রী ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে বের হয় প্রতি বছর, সে তুলনায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে সিটের অপ্রতুলতার কারনে তারা বাধ্য হয়ে বেসরকারী মেডিকেল গুলোতে ভর্তি হয়।
বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় যারা প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে চাকরি করছে তাদের অনেকের চাকরি গেছে, অনেকের যায় যায় অবস্থা। যাদের চাকরি আছে তাদের অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির আয় কমে যাওয়াতে তাদের কর্মীদের বেতন কর্তন করা হচ্ছে। সর্বোপরি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চাকরিজীবি সবার উপর এই প্রভাবটা পড়ছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর সন্তানরা যারা বেসরকারি মেডিকেলে পড়াশোনা করছে, তাদের পরিবারগুলো সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
এই সময়টায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারী মেডিকেলের ক্লাসগুলোও অনলাইনে হচ্ছে, ফলে মেডিকেলের যাবতীয় অনেক খরচ সাশ্রয় হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ঘরে থেকে ক্লাস করার কারনে মহামারীর ঝুঁকিও কিছুটা কমছে। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ বেসরকারী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পারিবারিক আয় বিবেচনা করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টিউশন ফি মওকুফ করা হোক।
বিনীত নিবেদক
আপনার বিশ্বস্ত
মোস্তাফিজুর রহমান সজীব
২৮ এপ্রিল ২০২০ কিশোরগঞ্জ , বাংলাদেশ।
(সকল বেসরকারী মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে)
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক/ ওয়াসিফ হোসেন