প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল ও আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় মিছিল থেকে ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে এ ঘটনা ঘটে। মিছিলে বাধা দেওয়ার সময় পুলিশ বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করেছে এবং টেনেহিঁচড়ে এক ছাত্রীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে, বরিশালে আঙুল কেটে রাস্তায় রক্ত ছিটিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বিক্ষোভ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে
তারা একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ জাদুঘরের সামনে তাদের বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর শিক্ষার্থীদের আটকের প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে গেলে তারাও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তাদের সঙ্গেও পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে ছাত্রফ্রন্টের নেতা স্নেহাদ্রি চক্রবর্তীসহ কয়েকজনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি জসিম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, আন্দোলনকারী সবাই শিক্ষার্থী নয়। তাদের কেউ শহীদ মিনার, কেউ রাজু ভাস্কর্য ও শাহবাগে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের মধ্যে এমন মতবিরোধ দেখে সন্দেহ হওয়ায় কয়েকজনকে আটক করা হয়।
বাধা ও আটকের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তারা আটক শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শাহবাগে তারা অবস্থান নেওয়ার সময় পুলিশ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। চলে যাওয়ার সময় বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় এবং কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আটকের প্রতিবাদ এবং আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বামমোর্চা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রমৈত্রী ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, গতকাল বুধবার ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল ও নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে টানা নবম দিনের মতো আন্দোলন করেছেন বরিশালের মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল ৯টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। পরে কলেজ গেটে অবস্থান নিয়ে হাতের আঙুল কেটে রাস্তায় রক্ত ছিটিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনেরও হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।
সূত্রঃ সমকাল
speechless…
R kichui baki roilo na…
How could one like this picture? This is absolutely right that POLICE are not a human. He is a medical student & stand against illegal . May ALLAH do the tat for.
He might be a son or brother of This Police.
Please police do the kindness as you always against illegal .
Shame…
ai type er police to murkho…mrittur por guta khaite khaite jan jabe ai police der…shala bekkol kothakar
এইগুলা কি!?!!!!