রোববার, সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০ বহাল থাকছে।
রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছেনা- এই অজুহাত তুলে ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ করার দাবি জানায় প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।তাদের ওই দাবি আমলে নিয়ে এ সভা ডাকা হয়। সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল শিক্ষার মান নিয়ে কোন আপস করা চলবে না। নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ডের
নিচে নেমে মেডিকেল শিক্ষাকে কোনভাবেই ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না। তাই সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে পাস নম্বর ৪০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে বিপিএমসিএ সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করেন, বিএমএ ও বিএমডিসি মদদে সরকার বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করছে। মেডিকেলে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা খুব শিগগিরই দাবি আদায় করার হবে বলে জানান তিনি। বিপিএমসিএ ট্রেজারার ইকরাম হোসেন বিজু বলেন, ৬৩টি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ছয় হাজার ৩৬০ আসনের বিপরীতে গত রোববার পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১০টি মেডিকেলে ভর্তির কোটা পূরণ হয়েছে। অন্য মেডিকেলে ১০ থেকে ২৫ কোটা পূরণ হয়েছে। তাই পাস নম্বর না কমালে মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা, এম ইকবাল আর্সলান বলেন, মেডিকেল শিক্ষাকে বাঁচাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী,স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা.মাহমুদ হাসান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। এছাড়াও বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা.আবু সফি আহমেদ আমিন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের কোন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন না।