.গত ৩০শে মার্চ মেডিসিন ক্লাব, মমেক ইউনিট আয়োজিত ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয় ও নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে নামমাত্র মূল্যে প্রায় দুইশজন শিক্ষার্থীর সফল ব্লাডগ্রুপিং প্রোগ্রাম সম্পন্ন করা হয় । পরবর্তীতে ৩রা এপ্রিল ময়মনসিংহ চরপাড়াস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ বিদ্যালয়ে দুই দফাতে সম্পন্ন হয় আরও ২০০ জনের ব্লাডগ্রুপিং প্রোগ্রাম । প্রধান শিক্ষকের অনুমতিক্রমে এসেম্বলিতে প্রথমে ব্লাডগ্রুপ কি, এটি জানার প্রয়োজনীয়তা কী- তা শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত জানানো হয় । সেই সাথে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্যও জানানো হয় তাদের। এরপরে শুরু হয় মূল কর্মসূচি ।
একে একে বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা আসতে থাকে এবং চলতে থাকে গ্রুপিং । আশেপাশে ঘিরে থাকে উৎসুক শিক্ষার্থী বৃন্দ । একটা স্লাইড ,তিন ফোঁটা রক্ত – ব্যাস গ্রুপিং শেষ , কিন্তু কিভাবে – মাথাটা ঝুঁকে বোঝার চেষ্টা চলতে থাকে কচি কচি শিশুদের ।
কারো কারো আবার আকুতি শোনা যায়, “আপুউ, আমার বান্ধবি কে কম ব্যথা
দিবেন- ও কাঁদলে আমিও কিন্তু কান্না করব !” প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষার্থীগুলির সুঁইভীতিটা একটু বেশিই কিনা – কিম্বা ওই বয়সের বন্ধুত্বটাই একটু বেশি গভীর ! মিষ্টি হেসে তাদেরকে অভয় দিয়ে কাছে টেনে চলতে থাকে মেডিসিনিয়ানদের কার্যক্রম ।
বেলাশষে তারা চলে যাবার সময় তাদের কচি মুখে নিজেদের ব্লাডগ্রুপ জানার খুশির ছাপ দেখে ফিরতে থাকে তারা । এটিই তো ছিল মেডিসিন ক্লাবের মূলমন্ত্র – Learn and let others learn to serve the humanity in the best possible manner.
এভাবে প্রতি বছরই দেশের প্রায় ২১টি মেডিকেলে ছড়িয়ে পড়া মেডিসিন ক্লাবের প্রতিটি ইউনিট সম্মিলিত ভাবে দেশের কয়েকশ স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এমনটা চলতে থাকবে ভবিষ্যতেও।