একজন প্রতক্ষদর্শী হিসেবে আজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার সারসংক্ষেপ
সার্জারি ২ নম্বর ওয়ার্ডে periampulary carcinoma নিয়ে ভর্তি ছিলেন একজন রোগী।রোগীর অবস্থা বেশি ভালো ছিলনা কারণ উনি ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে ছিলেন।রোগির এটেনডেন্সদের পীড়াপীড়িতে রোগিকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয় দুপুরের দিকে।পথিমধ্যে রোগিটি মারা যান।এর যের ধরে মৃতরোগিকে আবার সেই ওয়ার্ডেই NOD নিয়ে ভর্তি করানো হয়। আজ জুম্মার নামায ছিল বলে ওই সময় ওয়ার্ডে দায়িত্তে ছিলেন intern,একজন IMO (Dr Subroto sir) ।
দশ বারো জনের এক গ্রুপ নিয়ে এসে একযোগে হামলা চালাই ২ ং ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সেই স্যারের উপর।নার্সদের উপর শুরু হয় লাথি আর রুম ভাংচুর।
নামায শেষে ওই ওয়ার্ডের ইন্টার্ন এলে রোগির লোকদের ধরার জন্যে একযোগে গেটে সবাই অবস্থান নিলে গেটে অলরেডি ৪০-৫০ জন পুলিশ বাধা দেয়।এইসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী পরিস্থিতি কন্ট্রোল না করে উল্টা আমাদের ৫ম বর্ষের একজন ভাইকে মারধর করে।ভুলক্রমে মৃত রোগিটি ক্ষমতাসীন মহানগর শ্রমীক সংগঠনের সসহসভপতি। আর এজন্যে ক্যাডার নিয়ে হামলা আবার আইন শ্দৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হামালা।
এই সময় #যমুনা #সময় টিভিতে নিউজ
“ডাক্তারদের ভূল চিকিৎসায় রোগির মৃত ” !!!!!!!!!
পরিস্থিতি শান্ত করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং স্যারেরা মিটিং এ বসে। তারা এসে উল্টা সব কিছু মিমিংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।।। আমরা আমাদের ৫দফা দাবি পেশ করি,,, তারমধ্যে ১চটি দাবি বাস্তবায়ন করা হয় ও বাকি ৪ টি দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর আমরা ইন্টার্নরা পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমাদের দাবি সম্পুর্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। অথচ মিডিয় এখনো নির্লজ্জের মতো ভূল সংবাদ প্রচার করেই যাচ্ছে! আমরা আবারো বলছি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরি চলবে তবে মানবিক কারনে জরুরী বিভাগ ও এডমিশন ওয়র্ড চালু থাকবে এবং সেখানে কোন ইন্টার্নী কাজ করবেনা।
ইউসুফ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।