প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১০ আগস্ট ২০২০, সোমবার
ডা. এম এইচ রশীদ
নাইট ডিউটি চলছে। ইলেক্ট্রিসিটির অবস্থা ভালো না। মশারি একটু ছোট আঁটসাঁট। একটুতেই গায়ে ঘষা লাগে। কোন দিন প্রয়োজন মনে হয়নি। আজকে কেন জানি মনে হলো একটা মশারি কিনে নিয়ে আসি, কিন্তু দোকান অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কী করা যায়? কয়েল কিনতে গেলাম। মোটামুটি একটা দোকানই খোলা। বললাম,
“কয়েল দিন।”
কয়েল দিল। বললাম,
“একটা ম্যাচ দিন।”
দোকানদার বললো,
“আলাদা ভাবে একটি ম্যাচ বিক্রয় হয়না।”
বললাম,
“তাহলে কয়েল জ্বালাব কীভাবে?”
বললো,
“পান বিড়ির দোকানে খোঁজ করেন।”
এত রাতে পান বিড়ির দোকান কোথায় পাব? একটু জোরে বললাম,
-“ম্যাচ নিলে কয়টা নিতে হবে?”
-“এক বক্স।”
-“এক বক্সই দেন।”
মনে মনে ভাবলাম ইহা শুনে যদি উনার আক্কেল হয়। সত্যি সত্যি উনি চব্বিশ ম্যাচের বক্স বের করলেন।
আমি বললাম,
“দেন। দেখি বাকি গুলো বিক্রি করবো।”
উনার কোন ভাবাবেগ নেই। শুধু বললো,
“এত রাতে বিক্রি করতে পারবেন না।”
টাকা দিতে গেলে বললো,
-“ফেলে দেন।”
-“ফেলে দিব?”
-“জ্বী।”
বুঝলাম উনি হাতে হাতে টাকা নিবেন না। যদি আমার হাতে স্পর্শ লাগে। মহান করোনার ভীতি আছে। কিন্তু টাকা আবার নিজ হাতেই তুলে বাক্সে রাখলেন। মুখে মাস্ক ছিল থুতনির নিচে। যাবতীয় আক্কেল, যাবতীয় মমতা শুধু ঐখানে আশা করা যায়, ঐখানে।
কোথায়? ঐ যে ওখানে। হাসপাতালে।