১৪ এপ্রিল ২০২০:
ডা. শুভদীপ চন্দ
খুব করে মা’কে মনে পড়ছে। এত ভোরে ফোনও দেওয়া যাবে না। ভয় পেয়ে যাবে। সারাদিনে বলতে সন্ধ্যার পর একটু ভিডিও কল। তাও তখন কথা খুঁজে পাই না৷ কবে যে ঢাকায় যাব! কবে যে শহর লকডাউন উঠবে, সব শান্ত হবে? ঔষধগুলোও মনে হয় সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ দুই জন ছাড়া কেউ আমার পথ চেয়ে নেই।
মাঝে মাঝে মনে হয় এ কোভিড উনিশ একটি আশীর্বাদ। লোন সৌল গুলোর জন্য একটি মুক্তির পথ। কী করবে মানুষ এতদিন বেঁচে, যার আর পৃথিবীতে কিছুই দেয়ার নেই। যে সবসময় মিসফিট- তাকে ছাড়া পৃথিবী আরো সুন্দর। বেটার টু স্টপ।
কিভাবে যে দুধগুলো নষ্ট হলো বুঝতে পারি নি। এ দুর্দিনে দুধ ফেলে দিব? যখন ভারতে রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ মানুষ আর কুকুর শেয়ার করে খাচ্ছে! জীবন আমার কোনো ভুলই সহজে ক্ষমা করে নি। এ ক্ষেত্রেও নয়। ইনসোমনিয়া, সাথে এবডোমিনাল ডিজকমফোর্ট।
এভ্রি এম্পটি স্পেসেস নীড টু বি ফিলড। নয়তো এ এম্পটি স্পেস কবর হয়ে পৃথিবী আঁকড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। এম্পটি স্পেস রেখেছেন মানে আপনি একটি করে কবর বয়ে বেড়াচ্ছেন। আজ নববর্ষের প্রথম দিন। পরের নববর্ষ পৃথিবীর অন্য এক সেট মানুষেরা করবে। সে সেটে আমরা অনেকেই থাকব না।
আজটেকরা বিশ্বাস করতো পৃথিবী চলছে হিউম্যান স্যাক্রিফাইস দিয়ে। তারা বিটিং হার্ট শরীর থেকে ছিড়ে বের করতো। তার রক্ত পথে ছড়িয়ে দিত। যে পথ দিয়ে মৃতরা প্রতিদিন সূর্যোদয় করবে। নতুন আজটেক সমাজ বেঁচে থাকবে। এতবেশি হিউম্যান স্যাক্রিফাইস হতো যে তারা মানুষের খুলি দিয়েই এক স্তম্ভ বানিয়ে ফেলেছিল।
সময়টা শুধু বদলেছে, আর স্যাক্রিফাইসের ধরন পাল্টেছে। পৃথিবী সেই মৃতরাই চালাচ্ছে। সূর্যোদয় সব মৃতরাই করছে! নইলে এতো মৃত্যু কেন লাগবে?