বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
আজ ১৫ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিস শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মধ্যবয়সী কারো চেহারা। অথচ বাংলাদেশে শিশুদের একটা বড় অংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
সাধারণত শিশুরা টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত হয়। সেক্ষেত্রে সারাজীবন ইনসুলিন নিতে হয়। যার খরচও অনেক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন শিশুর ব্যয় টানতে প্রতি মাসে একটি পরিবারের খরচ হয় প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা। যা বহু পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিক ফাউন্ডেশন ২০২১ সালে একটি জরিপ করে। জরিপ অনুযায়ী, একদিন থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুর ৬ শতাংশ টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। প্রতিবছর যা বাড়ছে আশংকাজনক হারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সচেতনতা বাড়ালে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ অনেকাংশে সম্ভব। তবে নিয়ম মেনে চলতে হবে সারাজীবন।
বাডাস পেডিয়াট্রিক ডায়াবেটিস সেন্টার, বারডেম-২ এর ডিরেক্টর ডা. বেদৌরা জাবিন বলেন, টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব, কিন্তু টাইপ-ওয়ান না। কিছু কিছু ভাইরাস আছে, যেগুলো ছোটবেলায় আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে টাইপ-ওয়ান হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিন্তু কাদের হবে সেটা কিন্তু কোনো গবেষণায় এখন পর্যন্ত বের হয়ে আসেনি। চিকিৎসায় যে ইনসুলিন নেয়া হয়, সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী